আগামীকাল শনিবার (২৫ জুন) স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন থেকে যান চলাচল শুরু হবে সেতু দিয়ে। পদ্মা সেতু ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সেতু কর্তৃপক্ষের গণবিজ্ঞপ্তিতে পদ্মা সেতুতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে সেতুতে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
সেতু কর্তৃপক্ষের দেওয়া নির্দেশনা :
১. পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার/ঘণ্টা।
২. পদ্মা সেতুর ওপর যে কোনো ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা/হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ।
৩. বিশেষভাবে জানানো যাচ্ছে যে, তিন চাকা বিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা ইত্যাদি), সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়ি যোগে ও হেঁটে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না।
৪. গাড়ির আকারের চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫ দশমিক ৭ মিটারের চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না।
৫. সেতুর ওপরে কোনো ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না।
আগামী রবিবার ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে সরকার নির্ধারিত টোল প্রদান সাপেক্ষে সেতু পারাপার হওয়া যাবে। জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে ১৩ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে নসিমন, করিমন, ভটভটি ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না। এমনকি হেঁটেও মানুষ যাতায়াত করতে পারবে না। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুতে গাড়ি পারাপারে টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)। ঠিকাদার তাঁর কাজ শেষ করে সেতু বুঝিয়ে দিয়েছেন সরকারকে। তবে যে কোনো অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ছোটখাটো কাজ থাকবে। আগামী এক বছর ধরে তাঁরা সে কাজ ‘ডিফেক্ট লায়াবিলিটি পিরিয়ড’ করবেন।