আজ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১

নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে মসজিদে বোমা হামলার মামলায় ৫ জঙ্গির ফাঁসির রায়

মো. আলী আকবর : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৭ অগাস্ট ২০২২ ০৪:৪০:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

★ আসামিদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে বিচারও চলমান 

★ হামলায় সামরিক -বেসামরিক মিলে ২৪ জন আহত হয়েছিল

 

আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশাঁ খাঁ ঘাঁটিতে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেয়ারও আদেশ দিয়েছেন। গতকাল ১৭ ই আগস্ট বুধবার চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের সরকার পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট  মনোরঞ্জন দাশ দৈনিক সাঙ্গুকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। দণ্ডিত আসামিরা হলেন-নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী, বাবুল রহমান ওরফে রনি এবং জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফার। তাদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন পলাতক আছেন, ৪ জন  রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্রাইব্যুনালের সরকারি পক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ বলেন দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ আইনের ৬(২) ধারায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া পৃথক অভিযোগের বিচার অন্য আদালতে চলছে।

 

আসামি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন, আমারা এই রায়ে সন্তুষ্ট না,আমারা উচ্চ আদালতে আপিল করব

 

এর আগে গত ১ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য গতকাল বুধবার  দিন ধার্য করেন সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক আবদুল হালিম।

 

আদালত সূত্রে জানাযায়।২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর জুমার নামাজের পরে ১টা ৩৫ মিনিটে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ১টা ৪৫ মিনিটে ঘাঁটির ভেতরের দুটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদগুলোতে শুক্রবার স্থানীয়রাও নামাজ পড়তে আসতেন, বিস্ফোরণে সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে ২৪ জন আহত হন। বোমা হামলার নয় মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে নগরীর ইপিজেড থানায় একটি মামলা করেন।

 

মামলায় নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন, বলকিপার আবদুল মান্নান ও রমজান আলী এবং বাবুল রহমান ওরফে রনিকে আসামি করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তে গ্রেপ্তার মান্নানের বড় ভাই জেএমবি সদস্য আবদুল গাফফারের সম্পৃক্ততায় পায় পুলিশ। জেএমবির চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম খান নোমান ওরফে নাফিস ওরফে ফারদিনের নেতৃত্বে নৌ ঘাঁটির মসজিদে ওই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয় বলে মামলার এজাহারে বলা হয়।

ফারদিন ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল বগুড়ার শেরপুরে গ্রেনেড বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয় বলে পুলিশ জানায়। এ কারণে তার নাম এ মামলার আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।গত ২৩ শে মার্চ সাক্ষী গ্রহণ শুরু হয়। মামলায় মোট ১৭ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের ২২ মাস পর অভিযোগপত্র জমা দেয় ইপিজেড থানার পরিদর্শক মুহাম্মদ ওসমান গণি।

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়