সংক্ষিপ্ত স্কোর: নেপাল ১৯.২ ওভারে ৮৫/১০, লক্ষ্য ১০৭ ( ভুর্টেল ৪, শাহ ০, রোহিত পাওডেল ১, আসিফ ১৭, সন্দীপ ঝোরা ১, মাল্লা ২৭, গুলশান ০, এইরি ২৫, সোম্পাল কামি ০,বোহরা ০ )
বাংলাদেশ ১৯.৩ ওভারে ১০৬/১০ ( তাসকিন ১২*; তানজিদ ০, শান্ত ৪, লিটন ১০, হৃদয় ৯, মাহমুদউল্লাহ ১৩, সাকিব ১৭, তানজিম ৩, জাকের ১২, রিশাদ ১৩, মোস্তাফিজ ৩)
ব্যাট হাতে দুঃস্বপ্ন উপহার দিলেও বোলাররা মান রেখেছেন। নেপালকে ২১ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশকে ১০৬ রানে থামিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিল নেপাল। কিন্তু বোলারদের অসাধারণ নৈপুণ্য সেটা হতে দেয়নি। ২৬ রানে ৫ উইকেট তুলে শুরুতেই নেপালকে কাবু করে ছেড়েছিলেন পেসার তানজিম সাকিব। ৪ ওভার বল করে দুই মেডেনে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। তার পরেও নেপাল ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে মাল্লা-এইরির জুটিতে। মাল্লাকে (২৭) আউট করে ৫২ রানের সেই জুটি ভেঙে জয় পেতে বাকি অবদানটা রাখেন মোস্তাফিজ। তার পর তো কাটার মাস্টার নিজের স্বভাবসুলভ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নেপালকে শেষ দিকে রুখে দিতে পেরেছেন। শেষ দিকে মোস্তাফিজের আঘাতেই ফেরেন এইরি। তিনি ৩১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করেছেন। শেষ ওভারে সাকিবের জোড়া আঘাতে ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানে শেষ হয় নেপালের ইনিংস।
সাকিব ৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। তাছাড়া মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ১ মেডেন আর ৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২৯ রানে একটি নিয়েছেন তাসকিন। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা তানজিম সাকিব।
তাসকিনের আঘাতে পড়লো সপ্তম উইকেট
শেষ দিকে টান টান মুহূর্তে আঘাত হেনেছেন তাসকিন। তার আঘাতে নতুন ব্যাটার গুলশান ঝা ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। তাতে সপ্তম উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়েছে নেপাল।
জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ
২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে গিয়েছিল নেপাল। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেছিলেন মাল্লা-এইরি। ৫২ রানের সেই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজ। আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টায় থাকা মাল্লাকে ২৭ রানে তালুবন্দি করিয়েছেন কাটার মাস্টার। তাতে ৭৮ রানে পড়েছে ষষ্ঠ উইকেট।
৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে নেপাল
এক তানজিম হাসান সাকিবের বোলিংয়েই ধুঁকছে নেপাল। তার সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারছে না। সপ্তম ওভারে এসে সন্দীপ ঝোরাকে বিদায় দিয়ে চতুর্থ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তাতে আরও বিপদে পড়েছে নেপাল। ২৬ রানে হারিয়েছে ৫ উইকেট।
তানজিম সাকিব পাউডেলের মতো একই ডেলিভারিতে ঝোরাকে রিশাদের তালুবন্দি করিয়েছেন। ঝোরা ফিরেছেন ১ রানে।
উইকেট উৎসবে যোগ দিলেন মোস্তাফিজ
ব্যাট হাতে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক ভাবেই করছেন। পাওয়ার প্লেতেই নেপালকে বিপদে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। তানজিম সাকিব ৩ উইকেট নেওয়ার পর ষষ্ঠ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান আঘাত হেনেছেন। তাতে নেপাল পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ২৪ রানে চার উইকেট হারিয়েছে। মোস্তাফিজের ফুলার লেংথের বল খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আসিফ শেখ। প্রথম চেষ্টায় অবশ্য ক্যাচটা সাকিব আল হাসান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় চেষ্টায় নিয়েছেন। আসিফ ১৪ বলে ৪ চারে ১৭ রানে ফিরেছেন।
তানজিম সাকিবের আঘাতে পাওয়ার প্লেতেই নেপালের ৩ উইকেট নেই
কম লক্ষ্য দিলেও নেপালকে চাপে রাখার কৌশলে সফল বাংলাদেশ। বল হাতে তানজিম সাকিবই দলটাকে বিপদে ফেলছেন। তৃতীয় ওভারে জোড়া আঘাতের পর পঞ্চম ওভারে আবারও উইকেট নিয়েছেন তিনি। এবার বিদায় দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক রোহিত পাওডেলকে (১)। তানজিমের শর্ট বলটি বাইরে পেয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন পাওডেল।
তানজিম সাকিবের জোড়া আঘাত
নেপাল শুরুটা সতর্কভাবে করলেও তৃতীয় ওভারেই জোড়া আঘাতে দলটিকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন তানজিম সাকিব। শুরুতে ফুলটসে ওপেনার ভুর্টেলকে বোল্ড করেছেন। এক বল বিরতি দিয়ে নতুন নামা অনিল শাহকেও ক্যাচ আউট করেছেন তিনি। তাতে ৯ রানের মধ্যে পড়েছে নেপালের দুই উইকেট।
১০৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইট নিশ্চিতের ম্যাচে ব্যাটিংয়ে দুঃস্বপ্ন উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। নেপালের বোলিংয়ে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে ১০৬ রানে গুটিয়ে গেছে তারা। প্রথম বলেই বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেয় নেপাল। পাওয়ার প্লেতেই টপ অর্ডারে ধস নামে। তারপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে বিপর্যয়টা অবশ্যসম্ভাবী হয়ে উঠে। সর্বোচ্চ স্কোর বলতে সাকিবের ১৭। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ ধসের মুহূর্তে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে সেটির সম্ভাবনাও মিলিয়ে গেছে। রিশাদের আউটের পর তো শত রানের মাঝেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। সেটা হয়নি তাসকিনের ১৫ বলে ১২ রানের কল্যাণে। তার পরেও সহযোগী কোনও দেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের নজির গড়েছে বাংলাদেশ।
নেপালের হয়ে ১০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সোম্পাল কামি। শুরুতেই বাংলাদেশকে তিনি কাঁপিয়ে দিয়েছেন। তাছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দীপেন্দ্র সিং, রোহিত পাওডেল ও সন্দীপ লামিচানে।
রিশাদের বিদায়ে নেই নবম উইকেট
অষ্টম উইকেট পতনের পর কিছুটা মেরে খেলার চেষ্টা করেছিলেন রিশাদ। সফলও হয়েছিলেন। তাতে শতরানের সম্ভাবনা জাগলেও ১৭.১ ওভারে মেরে খেলতে গিয়েই ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তিনি। তার বিদায়ে শত রানের আগেই অলআউট হওয়ার শঙ্কায় বাংলাদেশ। রিশাদ ৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ রানে ফিরেছেন।
টিকলেন না জাকিরও
নেপালের বোলিংয়ে অসহায় বাংলাদেশ দ্রুতই হারায় অষ্টম উইকেট। জাকের আলীও বেশিক্ষণ টেকেননি। লামিচানের বলে ১৫.৩ ওভারে বোল্ড হয়েছেন। তাতে ১২ রানে ফিরেছেন। জাকেরের বিদায়ে পড়েছে অষ্টম উইকেট।
৬৯ রানে নেই বাংলাদেশের ৭ উইকেট
ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে তানজিম সাকিবের বিদায়ে ৬৯ রানে পড়েছে বাংলাদেশর সপ্তম উইকেট। ১৩.২ ওভারে লামিচানের ডেলিভারিতে ৩ রানে বোল্ড হয়েছেন। অবশ্য তার আগের ওভারেই এলবিডাব্লিউ হতে যাচ্ছিলেন তিনি। আম্পায়ার তাকে আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন।
ফিরলেন সাকিবও
৫২ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ব্যাটিং ধস রুখতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। ১১.৪ ওভারে রোহিত পাউডেলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফিরেছেন। তাতে বিপর্যয়টা হয়েছে আরও ভয়াবহ। সাকিব রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ২২ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন। তাতে ছিল ২টি চার।
মাহমুদউল্লাহর রান আউটে বিপদ বাড়লো বাংলাদেশের
৩০ রানে ৪ উইকেট পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। নবম ওভারে তারা দলের স্কোর পঞ্চাশও ছাড়ান। কিন্তু নবম ওভারেই বিপদ ডেকে আনেন সাকিব। এক্সট্রা কাভারে বল ঠেলে দিয়েই সিঙ্গেল নেওয়ার জন্য মাহমুদউল্লাহকে কল করেছিলেন। কিন্তু ফিল্ডার ছিল ভীষণ কাছে। ততক্ষণে বেশি দেরি হয়ে গেছে। মাহমুদউল্লাহ নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই লামিচানে স্টাম্প ভেঙেছেন। তাতে ১৩ রানে রানআউটে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ।
হৃদয়ের আউটে পাওয়ার প্লেতেই পড়লো ৪ উইকেট
পাওয়ার প্লেতেই টপের ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। হার্ড হিটার তাওহীদ হৃদয় নেমেও ব্যতিক্রম কিছু করতে পারলেন না। বরং বিপদ আরও বাড়িয়ে গেছেন। দুটি বাউন্ডারি মারলেও পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে পাওডেলের বলে হাঁটু গেড়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন। তাতে ৭ বলে ৯ রানে ফিরেছেন তিনি। হৃদয়ের আউটে হতশ্রীভাবে শেষ হয়েছে পাওয়ার প্লের ৬ ওভার। এই সময় ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে ৩১ রান।
ক্যাচ উঠিয়ে ফিরলেন লিটন
নেপালের বিপক্ষেও স্বস্তি এনে দিতে পারলো না বাংলাদেশের টপ অর্ডার। বরং দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৭ রানে ফিরেছেন তানজিদ, শান্ত। তার পর ভালোই চলছিল লিটনের ব্যাটিং। কিন্তু ৪.৩ ওভারে সোম্পাল কামির টাইট লেংথের বোলিং বিপদে ফেলে তাকে। লিটন মেরে খেলতে গেলেও ব্যাটে-বলে ঠিকমতো টাইমিং করকে পারেননি। বল উঠে যায় আকাশে। নেপাল কিপার সহজেই লুফে নেন তার ক্যাচ। ১২ বলে লিটন ১০ রানে আউট হয়েছেন।
তানজিদের পর আউট শান্ত
দীপেন্দ্র সিং এইরির স্পিন একটু এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন শান্ত। ব্যাট-প্যাডে যথেষ্ট ফাঁক ছিল। বলটা টার্ন করে ভেতরে ঢোকায় আঘাত করে স্টাম্পে। তাতে ৫ বলে ৪ রানে আউট হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন লিটন
প্রথম ওভারে তানজিদের আউটের পর লিটনকেও হারাতে বসেছিল বাংলাদেশ। শেষ বলে সোম্পাল কামির ডেলিভারিতে লেগ বিফোরে লিটনকে আউট ঘোষণা করেন অনফিল্ড আম্পায়ার। লিটন সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল স্টাম্প মিস করেছে।
প্রথম বলেই তানজিদের বিদায়
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। সোম্পাল কামিকে একটু এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন ওপেনার তানজিদ। বলটা বেশ উঁচুতেও ছিল। দেরি করে স্ট্রোক খেলতে যাওয়ায় ফিরতি বলটা জমা পড়ে সোম্পাল কামির হাতে। তাতে শুরুতেই কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ। তানজিম রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরেছেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টে শুরুতে টস জিতেছে নেপাল। বাংলাদেশকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
টস জিতে নেপালের অধিনায়ক রোহিত পাওডেল বলেছেন, তারা কন্ডিশনটা ব্যবহার করতে চাইছেন। পরে বল করা কঠিন হয়ে যাবে, যেহেতু শিশির একটা ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছে।
শান্তর দল সুপার এইটে যেতে পারবে কিনা সেটা নির্ভর করছে এই ম্যাচের ফলাফলের ওপর। কাগজে কলমে নেদারল্যান্ডসের সুযোগ থাকলেও শেষ দল হিসেবে সুপার এইটে ওঠার দৌড়ে এগিয়ে বাংলাদেশই।
অবশ্য নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলে আর কোনও সমীকরণ টিকবে না। বাংলাদেশ চলে যাবে সুপার এইটে। তবে হেরে গেলেও সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ থাকছে। সেক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসকে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হবে। আর যদি ডাচরা জিতে যায়, সেক্ষেত্রে রান রেটের হিসাব আসবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের নেট রান রেট ০.৪৭৮। নেদারল্যান্ডসের নেট রান রেট -০.৪০৮। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের তিন ম্যাচ থেকে পয়েন্ট ৪, নেদারল্যান্ডসের তিন ম্যাচ থেকে পয়েন্ট ২। বাংলাদেশ দল এত সমীকরণ নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবতে চাইবে না।
একাদশে কারা
বাংলাদেশ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
নেপাল একাদশ: কুশল ভুর্টেল, আসিফ শেখ (উইকেটরক্ষক), রোহিত পাওডেল (অধিনায়ক), অনিল শাহ, দীপেন্দ্র সিং এইরি, কুশল মাল্লা, গুলশান ঝা, সোম্পাল কামি, সুন্দীপ ঝোরা, সন্দীপ লামিচানে ও আবিনাশ বোহরা।