আজ রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১

নির্বাচনী ব্যয় নিয়ে বাস্তবতার সঙ্গে সত্যের বিরাট ফারাক: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৪ জুলাই ২০২২ ০৫:৪২:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 

নির্বাচনের প্রকৃত ব্যয় নিয়ে বাস্তবতার সঙ্গে সত্যের বিরাট একটা ফারাক আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে প্রকৃত ব্যয় অনেক বেশি। অনেকে ১০-২০ লাখ ব্যয় করতে পারেন, কিন্তু প্রকৃত ব্যয় ১৫-২০ কোটি টাকা হয়ে যাচ্ছে। অর্থশক্তি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রচার-প্রচারণা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাহলেই প্রকৃত ব্যয় কমানো সম্ভব। একই মঞ্চ থেকে যদি সব দলের নির্বাচনী প্রচার চালানো হয়, এটাকে প্রজেক্টশন মিটিং বলে, বিদেশেও হয়। এ প্রস্তাবটা আমার ভালো লেগেছে। তবে আমাদের আইনে সেটা নেই।

রোববার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে সংলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে ১৬ জনের একটি প্রতিনিধিদল ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসে। অন্যদিকে বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) ছাড়াও কয়েকটি আইন আছে। ক্ষমতার কোনো ঘাটতি দেখছি না। মানে প্রথমে সংবিধানে বলা হয়েছে, নির্বাহী বিভাগ নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে থাকবে। এরপর আরপিও, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, আচরণ বিধিমালা আছে। আরেকটা আছে নির্বাচন কর্মচারি বিশেষ বিধান আইন। অতএব যারা নির্বাচনী কাজে ন্যস্ত থাকবে, তারা নির্বাচনকালীন আমাদের অধীনে থাকবে। কেউ ডিফাইন করলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি মনে করছি না যে, ক্ষমতার খুব একটা অভাব আছে। কিন্তু এটুকু সহাযোগিতা চাই, আইনানুগভাবে কিছু প্রয়োগ করলে আপনারা যেন তাতে সমর্থন দেন। সমর্থন না দিয়ে যদি বিরুদ্ধাচারণ করেন, তবে খুব কঠিন হবে।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো আরোপিত ক্ষমতাগুলো সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি একটু কঠোর হতে পারে। সেটা আমাদের জন্য নয়। আপনাদের সবার জন্য, শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। কূটনৈতিকদের কথা বলেছেন, হ্যাঁ, কয়েকদিন আগে একটি গ্রুপ এসেছিল। তারা নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো পরামর্শ দেয়নি। বাইরে থেকে মনে হতে পারে, তবে তারা শুধু অবহিত হয়েছেন আমাদের নির্বাচন সম্পর্কে। উনারা কোনো পরামর্শ দেননি। আমি যেটা শুনেছি, যখন কোনো নির্বাচন আসে, এরা ধারাবাহিক এসে সাক্ষাৎ করে যান।

সিইসি বলেন, আপনারা সালিশীর কথা বলেছেন। সবাই বলছে নির্বাচনটা যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, কাউকে নির্বাচনে আসতে আমরা বাধ্য করতে পারবো না। ওটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সবাইকে আহ্বান করা। সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির কথা বলেছেন। কোনো দিকে আমরা পক্ষপাত, কোনো দিক আমরা নিপীড়নমূলক হয়ে পড়ি। অথবা যে মাঠে যে জিনিসগুলো সহায়ক হওয়া উচিত, সে জিনিসগুলো ওভাবে আসছে না। এক্ষেত্রে সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। সবাই বলছে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে কি না, কেন্দ্রে মারামারি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা পাচ্ছে না। এজন্য আমাদের কাছে চলে আসে। কারণ, আইনে বলা আছে, নির্বাচনকালীন পুলিশ, প্রশাসন ইসির নিয়ন্ত্রণে থাকবে।