তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমূখর করতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় তার জন্য ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। প্রত্যেক ভোটারের কাছে ভোটার কার্ড পাঠাতে হবে। ভোটাররা যেনো ভোট কেন্দ্রে এসে উৎসবের আমেজে ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম-০৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোন ভোটকে হালকাভাবে নিতে নেই। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছিলেন, ভোটের আগে যেই জিতে যায়, সেই হেরে যায়। তাই ভোটের আগে দয়া করে কেউ জিতে যাবেন না। কারণ পিঁপড়ার শক্তিও কিন্তু শক্তি। সুতরাং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে কাউকে বাদ দিতে নাই, সবাইকে রাখতে হবে। সেভাবেই সবাইকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে উৎসবমূখর করতে উঠান বৈঠক, পাড়া বৈঠক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শুরু করে ভোটের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি করতে হবে। না হয় মানুষ ভোট দিতে উৎসাহবোধ করবে না। আমজনতাকে এই ভোটের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা একটা উৎসবমুখর ভোট করবো। মানুষ লাইন ধরে একেবারে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দেবে। ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রেও যেন রেকর্ড করতে পারি, সে জন্য ভোটারদেরকে উৎসাহ দিতে হবে। বাংলাদেশের যাতে রেকর্ড করে আমরা সেরকম একটা রেজাল্ট করতে পারি, সেই লক্ষে কাজ করতে হবে সবাইকে।
সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খাঁন, ইফতেখার হোসেন বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ মাহমুদ, মাস্টার আসলাম খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।