অষ্ট্রেলিয়ান ভিত্তিক দাতা সংস্থা ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেইন এফেয়ার্স এন্ড ট্রেড (ডিফাট)-এর আর্থিক সহয়োগিতায় ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এর বাস্তবায়নে ’হিউম্যানিট্যারিয়ান এসিসটেন্স ফর দি রোহিঙ্গা এন্ড হোষ্ট কমিউনিটিস ইন বাংলাদেশ’’ নামক শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। এর অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরতে মঙ্গলবার (৫ই ডিসেম্বর) উখিয়া উপজেলা পরিষদের হলরুমে এক প্রজেক্ট অবহিত করণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্র্যাক এর মানবিক সহায়তা কর্মসূচির (এইচসিএমপি) আওতাধীন প্রোটেকশন সেক্টর আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন এইচসিএমপির আওতাধীন প্রটেকশান সেক্টর এর টেকনিক্যাল লিড স্বপ্না রাণী সমাদ্দার। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুনেচ্ছা বেবি।
এইচসিএমপির আওতাধীন প্রটেকশান সেক্টরের ডেপুটি ম্যানেজার নাজনীন নাহার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক এইচসিএমপির আওতাধীন প্রোটেকশন, শেল্টার ও সাইট ম্যানেজমেন্টস (এসএমএস) এর কর্মসূচি প্রধান মো: ইমামুল হক, ব্র্যাক এইচসিএমপির আওতাধীন ডিফাট এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ মাসুদুর রহমান,উখিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, ইউএনডিপির উখিয়া উপজেলার সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা মুক্তি কক্সবাজার এর টেকনিক্যাল অফিসার এস এম বেলালুর রহমান রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার খুরশিদা করিম, রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আবদুল হক, ইপসা'র প্রজেক্ট অফিসার ফারজানা আলম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক এইচসিএমপির আওতাধীন প্রটেকশান সেক্টরের সিনিয়র প্রজেক্ট অফিসার সাং থুই প্রু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উখিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুনেচ্ছা বেবি বলেন, এই প্রকল্প রাজাপালং ইউনিয়নের নারী ও শিশুদের জন্য সচেতনতার গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে সমাজে সহিংসতা প্রতিরোধ ও নারী ক্ষমতায়ন আরও এগিয়ে যাবে।
সভায় ব্র্যাক এইচসিএমপির আওতাধীন প্রোটেকশন, শেল্টার ও সাইট ম্যানেজমেন্টস (এসএমএস) এর কর্মসূচি প্রধান মো: ইমামুল হক, বলেন ”মানসিক প্রশান্তির জন্য আমাদের নারী-বান্ধব সেবা কেন্দ্রে নারীদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এতে কিশোরীরা তাদের অভিভাবকদের সাথে গার্ল শাইন প্রোগ্রাম মডেল এ নথিভুক্ত হবে। যা তাদের সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে নিজেদের কর্মস্পৃহা, মনোবল ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়তা করবে।” এটাকে রোল মডেল হিসাবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ”আমি মনে করি এই ধরণের উদ্যোগ নারী সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। ”
ডিফাট এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাসুদুর রহমান বলেন, প্রকল্পের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য, আমরা সরকারী এবং বেসরকারী সংস্থার সাথে পরামর্শ করে কাজ করব।
এইচসিএমপির আওতাধীন প্রটেকশান সেক্টরের টেকনিক্যাল লিড স্বপ্না রাণী সমাদ্দার ’হিউম্যানিট্যারিয়ান এসিসটেন্স ফর দি রোহিঙ্গা এন্ড হোষ্ট কমিউনিটিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের কার্যক্রমের বিস্তারিত তথ্য ও কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি এই প্রকল্পের এলাকাভিত্তিক কাজের বিবরণ তুলে ধরার পাশাপাশি এর মাধ্যমে নারী সহিংসতায় ভুক্তভোগীদের সেবা প্রদান আরও সহজ হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
ডিফাট এর অর্থায়নে ‘হিউম্যানিট্যারিয়ান এসিসটেন্স ফর দি রোহিঙ্গা এন্ড হোষ্ট কমিউনিটিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্প টি ব্র্যাক ২০২৩ সাল থেকে রাজাপালং ইউনিয়নের ৬ টি গ্রামে ও ০২ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাস্তবায়ন করছে। ক্যাম্পগুলি হচ্ছে ক্যাম্প-৮ই ও ক্যাম্প ১০। সেটারই ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই সভার আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত: অষ্ট্রেলিয়া ভিত্তিক ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেইন এফেয়ার্স এন্ড ট্রেড (ডিফাট) এর অর্থায়নে এই প্রকল্প চলবে আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত।