আজ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

নারী শিশু ও নির্যাতন মামলায় এক ব্যাক্তির ১০ বছরের কারাদণ্ড

মো.আলী আকবর : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১৪ জুন ২০২২ ০৪:০৬:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

হাটহাজারীর কাটিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী ভিকটিম তাহার পাশ্ববর্তী কাটিরহাট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ুয়া তাহার ভাইকে দূপুরের খাবার পৌছিয়ে দিতে গেলে সেখানে দায়িত্বরত সুইপার আসামী আপন চন্দ্র মালি ভিকটিমকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করিলে ভিকটিমের শৌর চিৎকারে ধর্ষনে ব্যর্থ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে শ্রেণীকক্ষের দেওয়ালের সাথে স্বজোরে ধাক্কা দিলে ভিকটিমের ডান পার্শ্বের ছোয়ালের হাড় ভেঙে দাঁত উপরে পড়ে গুরুতর জখম হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তখন আসামী ভিকটিমের মৃত্যুকে নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গলার দূইপাশে চাকু ধারা রক্তাক্ত কাটা জখম করঃত স্কুলের দ্বিতীয় তলা থেকে ফেলে দিয়ে স্কুল ভবনের নীচে সেফটি ট্যাংকিতে ফেলে দেয়।অনেকক্ষণ ধরে ভিকটিম স্কুল থেকে না আসায় তাহার বান্ধবী বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের জানালে এবং  পরবর্তীতে  ভিকটিমের গোঙ্গানীর শব্দ শুনে তার  পিতা অত্র মামলার বাদী ভিকটিমকে উদ্ধার করে আশন্কাজনক অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে হাটহাজারী থানায় ১৬(৩)১৮ মামলা দায়ের করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধিত ২০০৩) এর ৯(৪)(খ) এবং তৎসহ দন্ডবিধির  ৩২৫/৩২৬/৩০৭ ধারায়।বিগত ২৬/০৭/২০১৮ তারিখে মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়।পিডব্লিউ হিসেবে বাদী,স্কুলের শিক্ষিকা,ভিকটিম, ভিকটিমের বান্ধবী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট,ডাক্তার এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষী প্রদান করেন।মাননীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২ ট্রাইব্যুনালের মাননীয় বিচারক ১৪ ই জুন মঙ্গলবার আসামীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)(খ) ধারার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ইহার অতিরিক্ত  ৫০০০০/- হাজার টাকা জরিমানা এবং দন্ডবিধির ৩০৭ ধারা অভিযোগ  প্রমানিত হওয়ায় ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৭০০০০/- টাকা জরিমানা রায় প্রদান করেন।বাদী পক্ষে আইনজীবী এডভোকেট রাশেদুল ইসলাম রাশেদ দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি এবং এই বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়