আজ পহেলা ফাল্গুন। বসন্তের প্রথম দিন। বসন্তের আগমনী বার্তা নিয়ে গাছে গাছে ফুটেছে রক্তরঙা শিমুল-পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম। কবিগুরু বলেছেন, ‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়’। বসন্ত বাঙালীর আবেগ। তাই এ বসন্তকে বরণ করতে নগরজুড়েই ভোর থেকে সাজ সাজ রব। বসন্তের প্রথম ভোরে বাসন্তী রং শাড়ি, কপালে টিপ, হাতে চুড়ি, পায়ে নূপুর, খোঁপায় ফুল জড়িয়ে বেরিয়ে পড়েছে তরুণীর দল। পাঞ্জাবি, ফতুয়া পরা ছেলেরাও সঙ্গী হচ্ছে বসন্তবরণের বিভিন্ন আয়োজনে। দখিনা হাওয়া, মৌমাছির গুঞ্জরণ, কচি-কিশলয় আর কোকিলের কুহুতানে জেগে ওঠার দিন আজ।
শীতকে বিদায় জানানোর মধ্যদিয়েই বসন্তকে বরণ করে নিতে নগরে বিভিন্ন সংগঠন আয়োজন করেছে নানা অনুষ্ঠানের। নগরের আন্দরকিল্লা মোড়ে বোধন আবৃত্তি পরিষদ ও বোধন আবৃত্তি স্কুল ‘নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এলো প্রাণে’ শিরোনামে বসন্তবরণ উৎসবের আয়োজন করে। এর মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, আবৃত্তি, সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্য ও ঢোল বাদন। এছাড়া সিআরবির শিরিষতলার মুক্তমঞ্চ সকাল থেকে শুরু হয়েছে প্রমার বসন্ত উৎসব।
নগরীর জামালখানে ফুল দিয়ে তৈরী করা হয়েছে মনোরম সেলফি জোন। তাতে সেলফি নিতে ভিড় জমাচ্ছেন তরুণ-তরুণীরা।