আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নাজিরহাট বড় মাদ্রাসায় দু'পক্ষের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ফটিকছড়ি : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৩৮:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

ফটিকছড়ির আল জামিয়াতুল আরবিয়া নছিরুল ইসলাম মাদ্রাসার (নাজিরহাট বড় মাদ্রাসা)এক শিক্ষকের উপর হামলাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাবাসী ও মাদ্রাসার ছাত্রসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পরে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে। মাদ্রাসা ১০দিনের ছুটি ঘোষণা করে ছাত্রদের হল ত্যাগে নির্দেশ দেন। এ ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসা এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

 

স্থানীয় ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানায়, মঙ্গলবার

সন্ধ্যায় নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার ইফতা বিভাগের শিক্ষক মুফতি রবিউল ইসলাম ও বহিস্কৃত শিক্ষক মাওলানা আলী আকবরের মধ্যে ঝামেলা হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার নাজিরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মুফতি রবিউল হোসেন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং সংঘর্ষ বাধে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। শিক্ষার্থীরা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে মিছিল নিয়ে বাজারে নেমে এসে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দু'পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এসময় স্থানীয়দের একটি পক্ষ মাদ্রাসার বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। 

 

খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেজবাহ উদ্দিন, ফটিকছড়ি থানার ওসি নুর আহমেদসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক শেষে নাজিরহাট বাজার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি (মঙ্গলবার রাত ১২ টা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত) করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং মাদ্রাসা ১০দিনের ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগে নির্দেশ দেন প্রশাসন। বুধবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল সাড়ে চারটা)মাদ্রাসার বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, 'মাদ্রাসার

শূরা কমিটি এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।'