দেশের দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সাধারণ জনগণকে নিয়ে বাৎসরিক বৈজ্ঞানিক প্রতিনিধি সভায় এ তথ্য দেন তারা।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাবনার বনগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্স সেন্টারের হলরুমে এ সভা হয়।
বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিনি ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন-অর-রশীদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বারডেম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক প্রফেসর ডা. খাজা নজিমউদ্দীন, পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন বেবী ইসলাম, বনগ্রাম কিডনি ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. সাকিব-উজ-জামান ও চিকিৎসক প্রফেসর রফিকুল ইসলামসহ অনেকে।
ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইনসেপ্টার পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এ সভায় পাবনায় অধ্যায়নরত মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা ও চিকিৎসকদের ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে কিডনি রোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় জানানো হয়।
আলোচকরা জানান, সারা বিশ্বের ৮৮ কোটি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতিনিয়ত এ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার রোগীর কিডনি পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে আবার অনেকেই সঠিক চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন না বা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিডনি রোগের চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় অনেকেই চিকিৎসা নেন না বা নিতে পারেন না। এ বাস্তবতাকে সামনে রেখে সল্প ব্যয়ে বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সেবা দিচ্ছে। পাবনায় অবস্থিত কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার জরুরি সেবাসহ উন্নত ল্যাব, রোগী ভর্তিসহ প্রতিদিন বহির্বিভাগে কিডনি রোগীদের সেবা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
একই সঙ্গে তারা আরও বলেন, যেহেতু এটি একটি নিরব রোগ। তাই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই কিডনির অবস্থা কেমন আছে, সেটি খুব সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব। নিয়ম মেনে প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন আধা ঘণ্টা করে হাঁটা উচিত।