আজ বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড

দুই শিক্ষার্থী নয়, পরীক্ষা না দিয়ে পাস করেছে ১৭ জন!

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ ০৭:০১:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে একটি বিষয়ের পরীক্ষা না দিয়েও দুই শিক্ষার্থী পাসের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এমন আরও ১৫ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে।

 

তবে মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রকাশিত ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণে এসব শিক্ষার্থীর ফল বাতিল করা হয়েছে।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘যখন অনুপস্থিত থেকেও দুই পরীক্ষার্থীর পাসের বিষয়ে জানা গেলো, তখন আমার মনে হলো এমন আরও থাকতে পারে। পরে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে দুজন বিশেষজ্ঞ এনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে উপস্থিতি ও ফল যাচাই-বাছাই শুরু করি। এতে দেখা যায়, আরও ১৫ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও পাস করেছে। আমরা সেসব ফল বাতিল করেছি।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘ফল জালিয়াতির ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে বোর্ডের বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।’

 

এর আগে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী একটি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ না নিলেও সেই বিষয়ে তাদের জিপিএ-৫ পাওয়ার ঘটনা প্রকাশ হয়।

 

অনুসন্ধানে দেখা জানা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০২৩ সালের এসএসসিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের মূল পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল বাঁশখালীর চাম্বল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তাদের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্র (বাঁশখালী-০১) থেকে অনুপস্থিত দুজনকেই তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়ে নম্বরপত্র পাঠানো হয় কেন্দ্রে। একইভাবে অনুপস্থিত দুই শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র জমা না হওয়া সত্ত্বেও তত্ত্বীয় (নৈর্ব্যক্তিক) পরীক্ষায়ও সর্বোচ্চ নম্বর দিয়ে তাদের জিপিএ-৫ পাইয়ে দেন বোর্ড পরীক্ষকরা।

 

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ফল জালিয়াতিসহ নানান ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। তবে প্রকৃত অপরাধী এবং জড়িতরা আইনের আওতায় আসছে না। সাংবাদিকরা বাঁশখালীর ঘটনা সামনে আনায় শুধু একটি বিষয়ে (আইসিটি) দুজনের জায়গায় ১৭ জনের বিনাপরীক্ষায় পাসের খবর বের হলো। পুরো বোর্ডের সবগুলো পরীক্ষার তদন্ত করা হলে আরও বড় বিষয় বের হয়ে আসতে পারে।’