মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের যে ১১ আরোহী নিহত হন, তাদের মধ্যে আর অ্যান্ড জে প্রাইভেট কেয়ারের শিক্ষক ও ছাত্র ১০ জন। হাটহাজারীর থানার যুগিরহাট কলেজ রোড শেখ মার্কেটে আর অ্যান্ড জে প্রাইভেট কেয়ার এখন তালাবদ্ধ।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মার্কেটের প্রবেশ গেইট খোলা থাকতে দেখা গেলেও আর অ্যান্ড জে প্রাইভেট কেয়ারের প্রবেশ পথ তালাবদ্ধ দেখা গেছে।
কোচিং সেন্টারের উদ্যোক্তা ছিলেন রিদুয়ান, সজীব, রাকিব ও জিসান। তারা সবাই মারা গেছেন। ফুটবল খেলা থাকায় ঘুরতে যাননি কোচিং সেন্টারের এক শিক্ষক রিসাত। ভাগ্যক্রমে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন তিনি।
কোচিং সেন্টারের পাশে রেশমী লেডিস অ্যান্ড জেন্টস টেইলার্স এর মালিক পিন্টু বলেন, কোচিং এর যেসব শিক্ষক ও ছাত্র মারা গেছে, তাদের তুলনা হয় না। সবসময় ভালো আচরণ করতেন। ৬০-৭০ জনের মতো ছাত্র-ছাত্রী সকাল-বিকেল কোচিংয়ে আসতো। এখন কোচিং সেন্টারটি তালাবদ্ধ।
আর অ্যান্ড জে প্রাইভেট কেয়ারের সামনে মা-বাবার দোয়া ফার্নিচার মার্টের মালিক মোহাম্মদ সাহেদ বলেন, একসময় কোচিং সেন্টারটি কিন্ডারগার্টেন ছিল। করোনার কারণে কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেলে গত তিন মাস আগে আর অ্যান্ড জে কোচিং সেন্টার চালু করা হয়। অল্প সময়ের মধ্যে সাড়া পড়েছিল। অনেক ছাত্র-ছাত্রী কোচিং সেন্টারে আসতো। যারা ক্লাস নিতো, তারা আমাদের দেখলে সালাম দিতো।
কোচিং সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াবুল হক সজিবের ভাই তৌসিফ বলেন, আর অ্যান্ড জে প্রাইভেট কেয়ার এর গেইটের তালা প্রতিদিন খুলে দিতে যেতে হতো। আজ আমার ভাই নেই, সকালে তালা খুলে দিতে যাইনি।