পার্বত্য রাঙামাটির বাঘাইছড়ি এলাকায় আলাপ আছে বলে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে এক তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি যিশু চৌধুরী (২৭) নামে এক ধর্ষককে চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ এর হাটহাজারী ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেফতার যিশু রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি থানার করেঙ্গাতলী বাজার এলাকার সমীর চৌধুরীর ছেলে।
শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উক্ত ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুর রহমান।
তিনি জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষক যিশু এবং তারা পরস্পর যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গণধর্ষণ করেছে বলে স্বীকার করে।
র্যাব জানায়, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি এলাকার একটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ২১ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে গত ১৫ জুলাই রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিপ্লব বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি জরুরি আলাপ আছে বলে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ছাত্রী আর ঘরে ফিরে না আসায় তার মা আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে। পরদিন ১৬ জুলাই ভোর বেলায় ছাত্রী বাড়িতে এসে জানায় বিপ্লব বড়ুয়া তাকে বাড়ির বাহিরে ডেকে নেওয়ার পর যিশু চৌধুরীসহ কতিপয় দুষ্কৃতিকারী তার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বাঘাইছড়ি থানাধীন বাড়ুয়ার পাড়ায় একটি বসত ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর ওই মামলার আসামিরা এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি থানায় ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। এরমধ্যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ী চাকমাদের সাথে ঐখানকার সংখ্যালঘু বড়ুয়া, হিন্দু ও মুসলিমদের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে এবং এক পর্যায়ে গোলাগুলির পর্যায়ে যায়।
গণধর্ষণ মামলার ৫ আসামিদের মধ্যে ২ জন বৌদ্ধ, ১ জন হিন্দু ও ২ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক ছিল। ওরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। উক্ত ঘটনায় ইউপিডিএফ গ্রুপ ৫ অভিযুক্তকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টাও করেছিল। পরে আটককৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়।