চট্টগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। সর্বশেষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩ জন। এখন পর্যন্ত ৬৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৩, মহিলা ১৮, শিশু ২৩ জন।
চিকিৎসকরা বলছেন, সাধারণ জ্বর হলেই ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষেই বলা যাবে এটি ডেঙ্গু নাকি করোনা। এছাড়া বাড়ির আঙিনা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।
এদিকে, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বেশ ঘটা করে মশক নিধন কর্মসূচি চালু করলেও এখনও সুফল পাচ্ছে না নগরবাসী। তাছাড়া এ কর্মসূচিও বেশ অনিয়মিত। অন্যদিকে নিয়মিত মশক জরিপ না করায় মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত হচ্ছে না। ফলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন উদ্যোগ যথাযথ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। সর্বশেষ ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর শুরু হয় মশক জরিপ।
সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ রুখতে আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাসপাতালের শয্যাও। প্রত্যেকটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, এডিস মশা যাতে বংশ বিস্তার করতে না পারে, সে জন্য ওষুধ ছিটানোসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এখনও পরিস্থিতি তেমন জটিল পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তারপরও আমরা সতর্ক আছি। সকলকে আরও সচেতন থাকতে হবে।
মশক জরিপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আমাদের মত করে তথ্য সংগ্রহ করছি। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
চমেক হাসপাতালের উপ–পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা বলেন, হাসপাতালে যেসব ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে, তাদের আলাদাভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদেরও এ নিয়ে প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।