কক্সবাজারের টেকনাফে সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ১৯টি যানবাহনে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় আটজন আহত হয়েছেন। এ সময় ডাকাত দলটি একটি মোটরসাইকেলসহ যাত্রীদের মোবাইল, টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে টেকনাফের হোয়াইাক্যং শ্যামলাপুর সড়কের মাটির ব্যাংক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টেকনাফ-হোয়াইক্যংয়ের শ্যামলাপুর সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখে ১৫ থেকে ২০ জনের সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল। এ সময় তারা যাত্রীবাহী অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ ১৫টি যানবাহনের গতিরোধ করে যাত্রীদের কাছে থাকা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল লুটে নেয়। ডাকাত দলের হামলায় কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। পরে ডাকাত দল আলী মুন্না নামে এক ব্যক্তির মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করার আশ্বাস দেন।
ডাকাতির শিকার আলী মুন্না বলেন, পুলিশের গাফিলতির কারণে এই এলাকায় ডাকাতি হচ্ছে। ডাকাতরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে গতিরোধ করে আমার মোবাইল ও মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। একটু দূর থেকে স্থানীয় কয়েকজন টর্চ মেরে ডাকাতির ঘটনা দেখলেও কোনো ধরনের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।
রুহুল আমিন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ব্যবসার কাজে শ্যামলাপুর যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম সড়কে গাছ ফেলে রাখা হয়েছে। লাইটের আলোতে দেখা যায় কয়েকজন কালো মুখোশ পরে দাঁড়িয়ে আছেন। পরিস্থিতি বুঝে কোনোমতে গাড়ি ঘুরিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসি।
ডাকাতির শিকার হাওয়া আরেক নারী বলেন, ‘পরিবারের ছয় সদস্যকে নিয়ে বেড়াতে আসি। ডাকাত দল টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে গেছে। ডাকাতের মারধরে কয়েকজন আহতও হয়েছেন। এভাবে সড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না।