আজ শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টেকনাফে বিজিবি'র অভিযানে সাড়ে ৬ কোটি টাকার আইস ও ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার

আমান উল্লাহ কবির, টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৪ অগাস্ট ২০২২ ১২:৩০:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)'র অভিযানে ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার ১ কেজি ৪০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এসময় পাচারকারী চক্রের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে। 

 

১৪ আগস্ট (রবিবার) ভোর রাতে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি ) সদস্যদের পরিচালিত অভিযানে এসব মাদক উদ্ধার করা হয় ।

 

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, 

 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া বিওপি'র ১৪ নং ব্রীজ হতে ২০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে জালিয়ারদ্বীপ এলাকা দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে । এমন খবর পেয়ে ব্যাটালিয়ন সদর এবং দমদমিয়া বিওপি হতে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল ওই এলাকায় কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বাগানের আঁড় নিয়ে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে। আনুমানিক ভোর রাত সাড়ে ৩ টারদিকে টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে মায়ানমার হতে শূন্য লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে । কিছুক্ষণ পর বিজিবি সদস্যরা উক্ত ব্যক্তিদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে পাচারকারীরা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি ব্যাগ ফেলে দিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে সাঁতার দিয়ে মায়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায় । পরে টহলদল ওই স্থানে তল্লাশী করে চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া একটি প্লাষ্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে । উদ্ধারকৃত ব্যাগের ভিতর হতে ১ কেজি ৪০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করতে সক্ষম হয় । উদ্ধারকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ।

 

পরে টহলদল উক্ত এলাকায় তল্লাশি পরিচালনা করেও কোন চোরাকারবারী কিংবা তাদের সহযোগীকে আটক এবং অন্য কোন ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। ফলে চোরাকারবারীদের সনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি । 

 

বিজিবি অধিনায়ক আরো জানান, চোরাকারবারীদের সনাক্ত করার জন্য ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে । উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম শেষে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা , চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট , মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি , স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।