নিয়মিত টিকাদানের সময় বিভিন্ন কারণে বাদ পড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা দেওয়া হচ্ছে। ১২ বছর পূর্ণ হলেই নেওয়া যাচ্ছে টিকা।
রোববার (১৩ মার্চ) সকাল থেকে নগরের চট্টেশ্বরী সড়কের সিজিএস (চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল) কেন্দ্রে টিকাদান শুরু হয়। প্রথম দিন জেলা শিক্ষা অফিসের তালিকা অনুযায়ী ১৫টি স্কুলের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীকে টিকা প্রদান করা হবে।
জানা গেছে, ১২ থেকে ১৮ বছরের কোনও শিক্ষার্থী টিকা না পেয়ে থাকলে অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসে অবহিত করলে শিক্ষার্থী কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। এছাড়া কোনও শিক্ষার্থীর বয়স ১২ বছর পূর্ণ হলে, তারাও তাদের স্কুলের সহায়তায় জেলা শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে টিকা পাবেন। দ্বিতীয় ডোজের পাশাপাশি বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজও দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, কোনও শিক্ষার্থীর বয়স ১২ বছর পূর্ণ হলে তারাও টিকা নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে স্কুলের মাধ্যমে তাদের তথ্য আমাদের কাছে (জেলা শিক্ষা অফিসে) পৌঁছাতে হবে। এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা এক মাস, ২০ দিন বা ১৫ দিনের জন্য বয়স ১২ বছর পূর্ণ হয়নি। যার কারণে এতদিন তারা টিকা নিতে পারেনি। এখন এসে অনেকের বয়স ১২ বছর পূর্ণ হচ্ছে। নতুন এই সিদ্ধান্তের কারণে এখন থেকে ওই শিক্ষার্থীরাও টিকার আওতায় আসবে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থী টিকা কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে চলে আসলে তারাও টিকা পাচ্ছে। টিকা কার্ডের তথ্য রেখে পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কোনও শিক্ষার্থী কেন্দ্রে আসলে আমরা তাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি না। টিকা গ্রহণে শিক্ষার্থী পাওয়া সাপেক্ষে সিজিএস কেন্দ্রটির কার্যক্রম চলমান থাকবে।