জামাতা জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষস্থানীয় আলেম মুফতি আবদুল্লাহকে অপহরণ করে উগ্র সংগঠন আল-ইয়াকিনের সদস্যরা। সেই সুত্র ধরে মেয়ে খালেছার সংসার ভেঙেছে। ঘটনার ৩ বছর পার হলেও কোন সন্ধান মেলে নি রোহিঙ্গাদের প্রসিদ্ধ এই আলেমের। এখনো হদিস না পাওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে পরিবারে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে মুঠোফোনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ভিকটিম মুফতি আবদুল্লাহর শ্যালক মাস্টার খালেদ।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে নামাজরত অবস্থায় দুলাভাই মুফতি আবদুল্লাহকে অপহরণ করে আল-ইয়াকিনের সদস্যরা। এ সময় ঘরে ছিলেন জামাতা জিয়াউর রহমান। তিনি জেনেশোনে দরজা খোলে দিয়েছেন।
মুফতি আবদুল্লাহ ক্যাম্প-১৫ এর জামতলি ‘এ’ ব্লক, সাব ব্লক এ ৮ এর বাসিন্দা হাজি খলিল আহমদের ছেলে। তিনি ৫ ছেলে মেয়ের জনক এবং বালুখালী-১ ক্যাম্প-৯ এর একটি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
মিয়ানমারে উচ্চশিক্ষা শেষে হাটহাজারি মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস পাশ করেন মুফতি আবদুল্লাহ।
মাস্টার খালেদ দাবি করেন, জিয়াউর রহমানের আল-ইয়াকিন সম্পৃক্ততার কারণে ঘটনাটি ঘটানো সহজ হয়েছে। আবদুল্লাহর ঘরে ঢুকে তুলে নিয়ে যেতে পেরেছে সন্ত্রাসীরা। পিতার অপহরণের ঘটনার জন্য স্বামীকে দোষারুপ করেছেন খালেছা। যাতে পরিবারের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। মুফতি আবদুল্লাহর পরিবারের কারো সাথে আনজরশাহর কোন ধরণের অবৈধ সম্পর্ক নাই।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য দেখা হয়। অবশেষে স্ত্রী খালেছাকে তালাক দেয়। জিয়াউর রহমানের সাথে ‘সাপেনেউলে’ সম্পর্ক তৈরী হয়।
মুফতি আবদুল্লাহর পরিবারের বরাত দিয়ে শ্যালক মাস্টার খালেদ বলেন, নিজের অপরাধ ঢাকতে এবং অপরের উপর দোষ চাপাতে নানামুখি ফন্দি করছে জিয়াউর রহমান। তার অংশ হিসেবে ‘আনজরশাহ’ নামক ব্যক্তির অবতারণা করা হয়েছে। মিথ্যা রটনা রটিয়েছে। অথচ তার সাথে আমাদের পরিবারের কারো বিরোধ নেই। তিনি আরো বলেন, মুফতি আবদুল্লাহর পরিবার কোন মিডিয়াকে বক্তব্য দেয়নি। যোগাযোগ নাই। অথচ তাদের বরাত দিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যা আমরা অবগত নই। সবকিছু করেছে জিয়াউর রহমান।
তার দাবি, জিয়াউর রহমানই ঘটনার নায়ক। তার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গভীর খাতির রয়েছে। অপরাধীরা মিলেমিশে নানামুখি অপপ্রচার-প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। নিউজ ছেপেছে।
বিভিন্ন সময় আল-ইয়াকিনের ক্ষমতা দেখানো জিয়াউর রহমান। সেই রাগে-ক্ষোভে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল স্ত্রী খালেছা, পরে তালাকে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়- এমনটি জানিয়েছেন মাস্টার খালেদ।
তিনি মনে করেন, অভিযোগ ও সব ঘটনার সঠিক তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।