আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এক সীদ্ধান্তে

জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে সীতাকুণ্ড পৌরসভার ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড : ভোগান্তি চরমে

ইলিয়াছ ভূঁইয়া : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৯ মার্চ ২০২৩ ০৫:১৬:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

 

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভার দক্ষিণ মহাদেবপুর ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের নলুয়াপাড়া রেল ক্রসিংয়ে কর্তৃপক্ষের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে গর্ত করে পিলার স্থাপনের কাজে চরম ভোগান্তির শিকার ওই এলাকায় বসবাসরত প্রায় ১০ হাজার মানুষ৷ 

যুগযুগ ধরে ওই রেল ক্রসিংয়ে যানবাহন চলাচল করলেও বর্তমানে রেল কতৃপক্ষের সিদ্ধান্তে অবৈধ ওই রেল ক্রসিংয়ে পিলার স্থাপন করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।এতে বেকাদায় পড়েছে স্থানীয়রা।

মূলত জনবহুল ওই এলাকার দুটি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক এটি। এছাড়া কৃষকের উৎপাদিত ফসলি জমি বাজারজাত ও খামারীদের যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি হওয়ার ফলে কৃষক ও খামারীরা লোকসানের সম্মুখীন হবেন।

স্থানীয়রা জানান,বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এম.জি এস.পি প্রকল্পে সীতাকুণ্ড পৌরসভার অধীনে দীর্ঘ এক কিলোমিটার এই সড়কের নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।সম্প্রতি মিরসরাইয়ে অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে।সেই সুবাদে এই ক্রসিংয়ে গর্ত করে রাখা হয়েছে পিলার স্থাপন করার জন্য। কিন্তু জনবহুল এই সড়কের ক্রসিং বন্ধ করলে এখানকার দোকানী,চাকুরীজিবী,ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা ভোগান্তি পোহাতে হবে৷ 

এ বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক পূর্ব,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,ও সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবরে অনুলিপি পাঠিয়েছি।শীঘ্রই এই সমস্যার প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ রেলওয়ে মন্ত্রনালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয়রা।ওই রেল ক্রসিংয়ে অস্থায়ী গেটম্যান দেওয়ার ও দাবি জানান তারা।

এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলম জানান, আমার নির্বাচনী এলাকার ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা যুগযুগ ধরে এই পথে চলাচল করে বসবাস করছে৷ তাদের চলাচলের সুবিধার্তে আমরা পৌরসভা অনেক মজবুত করে রাস্তা করে দিয়েছি৷ বর্তমানে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এহেন সীদ্ধান্তে বিপদে পড়বেন আমার ৫ ও ৬ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার বাসিন্দারা৷ স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ও ডেলিভারি রোগী সহ নানান বয়সী রোগীদের বহনে এম্বুলেন্স ঢুকতে পারবেনা৷ এলাকাবাসীর পক্ষে ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা দরখাস্ত দিয়েছি জনকল্যাণ মূলক সীদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য৷ 

 

সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নাজিম উদ্দিন বলেন,আসলে এই বিষয়টি আমাদের পর্যায়ে পড়েনা।এই বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে বিষয়ে আমরা কোন সিদ্ধান্ত জানাতে পারবোনা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে  বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান  বলেন,আসলে এই সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত নই,এটি টপ লেভেল থেকে আসছে।এছাড়া এটা আমি অবৈধ রেল ক্রসিং বলবোনা এটি হচ্ছে অনুমোদনহীন। আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন অনুমোদনহীন রেল ক্রসিং গেইট গুলো বন্ধ করে দিবে।সেক্ষেত্রে আমাদের করণীয় খুবই কম।এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট স্থানীয়রা জানাতে পারেন। তাছাড়া আমাদের পক্ষে অবৈধ গেট/অনুমোদনহীন গেট অপেন রাখা কষ্টকর হবে।তিনি আরও বলেন যেহেতু পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক বরাবরে অনুলিপি পাঠিয়েছেন উনি পূর্বাঞ্চলীয় সবোর্চ্চ কর্মকর্তা তিনি বিষয়টি দেখবেন।

এই বিষয়ে অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) চট্টগ্রাম এর কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।