আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ছাত্রকে পিটিয়ে চোখ নষ্ট করলো শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ ০২:০০:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

বোয়ালখালীতে হেফজখানার এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোছাম্মৎ শাহিন আক্তার।

 

ওই শিক্ষার্থীকে পেটানোর পর বিষয়টি গোপন রেখে নিজেদের মতো করে চিকিৎসা করানোর কারণে চোখ নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

তারা বলছেন, যখন চোখে আঘাত পেয়েছে তখন যদি ভালো চিকিৎসা পেত তাহলে হয়তো চোখটি রক্ষা করা যেতো।

 

চোখে আঘাত পাওয়ার পর তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই একটি ড্রপ ব্যবহার করেছেন, যার কারণে চোখ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।  

ছেলের এমন অবস্থা দেখে মা স্বপ্না আক্তার মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দ্বারস্থ হয়েছেন। ইউএনও ইমরান হোসাইন সজীব ছেলের সুচিকিৎসা ও এ ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

 

বোয়ালখালীর জোটপুকুর পাড় এলাকায় বাগে সিরিকোট তাহফিজুল কুরআন আইডিয়াল মাদ্রাসায় ২৬ মে হেফজ বিভাগের ছাত্র মো. আয়াতুল ইসলাম (৭) শিক্ষিকার বেতের আঘাতে বাম চোখের দৃষ্টি হারায়, যা গোপন রাখে অভিযুক্ত শিক্ষিকা।

 

অভিযোগপত্রে স্বপ্না আক্তার উল্লেখ করেন, শিক্ষিকা মোছাম্মৎ শাহিন আক্তার আমার ছেলেকে পড়া কম পড়ার অজুহাতে বেধড়ক বেত্রাঘাত করে তার বাম চোখের দৃষ্টি নষ্ট করে ফেলে। সকল চিকিৎসা শেষ করে চিকিৎসকরা জানিয়েছে, আমার ছেলের চোখের মণিতে ব্যাপক আঘাত হওয়ায় সে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।

 

এমতাবস্থায় আমি নিরুপায় হয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তির স্মরণাপন্ন হয়েছি। গত ২৬ মে ওই শিক্ষিকা চোখে আঘাত করে, যা গোপন রাখে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান তিনি।

 

বাবা সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ছেলেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে মাদ্রাসায় দিয়েছিলাম। ভালো অগ্রগতিও হয়েছে আমার ছেলের। হঠাৎ ছেলের এমন অবস্থায় আমরা পুরো পরিবার মর্মাহত। ডাক্তার বলেছে, আমার ছেলে এক চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে। আমি উপজেলা সদরে মুদি দোকানে চাকরি করি। আয়াতের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে।

 

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন মানিক বলেন, আায়াতের চোখ লাল হওয়ায় অভিভাবকের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলাম। মাদ্রাসায় কেউ মারধর করেনি।

 

ইউএনও ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়েছি। পরিবারকে ছেলের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। সেই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছি।



সবচেয়ে জনপ্রিয়