ফটিকছড়িতে ফ্যাসিস্ট হাসিনা কর্তৃক ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা এবং খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করছে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকালে উপজেলা সদরে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। বাসস্টেশন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিবিরহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মিছিল শেষে ফটিকছড়ি থানা চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজম চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কর্ণেল(অবঃ) আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে সে বিজয়কে পুঁজি করে কেউ যেন আবার চাঁদাবাজি না করে, অপহরণ করতে না পারে। যদি করে সে ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী দলের নেতা-কর্মীরা তা রুখে দিবে। আমাদের কোন নেতা-কর্মী কোন চাঁদাবাজি, হুমকী-ধমকিতে লিপ্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উদ্বুদ্ধ প্রেক্ষাপটে সকল বিএনপি নেতাকর্মীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি নেতা কর্নেল বাহার বলেন, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে তারা যাতে নির্দিধায় নির্ভয়ে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। সুতরাং যারা আছে, যারা আগে থেকে প্রশাসনে কার্যক্রম চালিয়েছে যদি আমরা সহযোগিতা না করি প্রশাসন আগের পর্যায়ে ফিরবে না এতে জনসাধারের কষ্ট হবে।
বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল বাহার আরও বলেন, ইতিমধ্যে স্বৈরাচার সরকারের ধূসর ও প্রভাবশালী দুই মন্ত্রী চোরের মতো পালাতে গিয়ে লজ্জাজনক ভাবে আটক হয়েছে। যারা ক্ষমতার দাপটে মানুষকে মানুষ মনে করেনি। তারা খুনী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের উপর স্টিম রোলার চালিয়েছে। খুনি হাসিনাসহ তাদের বিচার দাবি করছি। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল আলম চৌধুরীসহ উপজেলার বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।