চুরির অভিযোগ তুলে নগরীর খুলশী থানাধীন লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ব্রিজ এর নীচ থেকে সিয়াম ও হেলাল নামের ২ কিশোরকে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় আটক করেন ডিআইজি বাংলোর পুলিশ।
আটক করার পর ডিআইজি বাংলোর পুলিশ চুরির অপবাদ দিয়ে দুই কিশোরকে রশি দিয়ে বেঁধে লালখান বাজারস্থ ডিআইজি বাংলো এলাকায় নিয়ে যান।
ডিআইজি বাংলো এলাকায় কিশোরদেরকে পাইপের সাথে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লালখান বাজারস্থ মেজিস্ট্রেট কলোনির দারোয়ান তাজু কিশোরদের ধরতে ডিআইজি বাংলোর ৩ কনেষ্টেবল পুলিশকে বলা হলে বাংলোর পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে লালখান বাজারস্থ লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে ব্রিজ এর নীচ থেকে দুই কিশোরকে আটক করেন এবং সেখানে প্রকাশ্যে চুরির অপবাদ দিয়ে দুই কিশোরকে রশি দিয়ে বেঁধে ডিআইজি বাংলো এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৩ পুলিশ কনেষ্টেবল দুই কিশোরকে পাইপের সাথে বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন এবং তাদেরকে অর্ধেক করে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।
নির্যাতনের দেড়ঘন্টা পর তাদেরকে নিজ নিজ বাসায় পুলিশই পৌঁছে দেন।
কিশোর সিয়াম খুলশী থানাধীন মতিঝর্না এলাকার আলী সওদাগারের ভাড়া ঘরের বাসিন্দা। তার পিতার নাম জব্বার। সে ইউসেফ স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা টেক্সটাইলের দারোয়ান।
জানতে চাইলে সিয়ামের মাতা গুলশান বেগম দৈনিক সাঙ্গুকে জানান, পুলিশ আমার ছেলের মাথা অর্ধেক ন্যাড়া করে দিয়েছে এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন আঘাতেরও অনেকগুলো দাগ আছে। দুপুর ১টা ৩মিনিটের সময় আমার ছেলে সিয়ামকে আমার বাসায় দিয়ে গেছে পুলিশ।
জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তোষ চাকমা দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন আমি সারাক্ষণ এলাকায় পূজার ডিউটি করছি। এইধরনের ঘটনার কোনো সংবাদ পায়নি। ডিআইজি বাংলোর পুলিশ লাইনের পুলিশ। থানার পুলিশ না।
জানতে চাইলে হাইকোর্টের আইনজীবী মাসুদ দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন, স্থানীয় থানাকে না জানিয়ে কোনো পুলিশ অফিসার ছাড়া পুলিশ কনেষ্টেবল আটক করতে পারেন না। এদেরকে নির্যাতন করে ফৌজদারী অপরাধ করেছেন।