চীনের বাজারে বাংলাদেশ ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পাবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোববার (৭ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সকাল পৌনে ৮টার দিকে বৈঠকে বসেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে চীন আরও ১ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ এখন থেকে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এর মধ্যে পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকায় পৌঁছেন। বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে ঢাকা-বেইজিংয়ের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষেই চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা ছাড়বেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে দিনের ব্যবধান থাকলেও ২৪ ঘণ্টারও কম সময় তিনি ঢাকায় অবস্থান করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন কম্বোডিয়া থেকে শনিবার দিনগত রাত ১১টার দিকে ঢাকায় ফেরেন। তিনি ঢাকায় না থাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।