আজ বুধবার ১ মে ২০২৪, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩১

চমেক হাসপাতালে ক্যান্সার ইউনিট: কাজ শেষ ৫৪ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : সোমবার ২ অক্টোবর ২০২৩ ০২:৪১:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। রোগী বাড়লেও এ রোগের চিকিৎসায় তৈরি হয়নি সুযোগ-সুবিধা।

 

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ক্যান্সার ওয়ার্ড থাকলেও চিকিৎসা ব্যবস্থার তেমন বিস্তার ঘটেনি।  

ফলে ক্যান্সার শনাক্ত হলেই রোগীদের যেতে হয় ঢাকা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।

 

তাই চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ একটি ক্যান্সার ইউনিট গঠন করা ছিল সময়ের দাবি। ক্যান্সার চিকিৎসা আরও সহজলভ্য করতে চট্টগ্রামসহ ৮টি বিভাগীয় শহরের (ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও খুলনা) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একশ শয্যার একটি করে ক্যান্সার ইউনিট স্থাপনে প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার।  

২০১৯ সালে প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) অনুমোদন পায় একনেকে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে পায় গণপূর্ত বিভাগ। চমেক হাসপাতালের প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৮৮ কোটি ২৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা। ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের সময়সীমা হলেও মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।  ইতিমধ্যে ৫৪ শতাংশ অবকাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে দাবি প্রকল্প পরিচালকের। আগামী বছরের শুরুতেই ৭ তলা পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করা হবে। তারপরেই ক্যান্সার চিকিৎসাসেবা দেওয়া শুরু হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

 

১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনটির দ্বিতীয় থেকে সপ্তম তলা জুড়ে থাকবে ১৮০ শয্যাবিশিষ্ট ক্যান্সার ইউনিট। এছাড়া অষ্টম থেকে এগারো তলায় ১৬৫ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস এবং ১২ তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত থাকবে ১১৫ শয্যার কার্ডিয়াক ওয়ার্ড। থাকবে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। ভবনটি নির্মাণে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড এবং ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড।

 

চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক রাহুল গুহ জানান, বছরের শুরুতে আর্থিক সংকট ছিল। এখন তা কেটে গেছে। ইতিমধ্যে ৫৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে সপ্তম তলার কাজ শেষ হবে। সপ্তম তলা পর্যন্ত কাজ শেষ হলে ক্যান্সার ইউনিট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।  

 

তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পের টেন্ডার হয় ২০১৮ সালে। তখনকার দাম আর বর্তমান দামের পার্থক্য অনেক। যার কারণে আগের বাজেট নিয়ে কাজ করা যাচ্ছে না। বাজেট বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। আশা করি এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।

 

চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ক্যান্সার একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। চমেক হাসপাতালে ক্যান্সার ওয়ার্ড রয়েছে তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। প্রচুর রোগী ভর্তি হওয়ায় সংকীর্ণ স্থানে চিকিৎসা দেওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার ইউনিট হলে সেবার পরিধি বাড়ানো সম্ভব হবে। বেশি রোগীকে সেবা দেওয়া যাবে। আশা করছি, ২০২৪ সালের মধ্যে অন্তত ক্যান্সার ইউনিট চালু করা যাবে।



সবচেয়ে জনপ্রিয়