আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, হল ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : শনিবার ৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০২:৫৬:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

 

দেয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে আবাসিক হলের প্রায় আটটি কক্ষ। 

 

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

 

 

সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষ দুটি হলো—চবি শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপ বিজয় ও ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স)। বিজয় শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল ও ভিএক্স নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

 

জানা গেছে, বছরখানেক আগে চবির এ এফ রহমান হলের দেয়ালজুড়ে বিজয় গ্রুপের চিকামারা হয়েছে। হলটিতে বিজয় গ্রুপ একক আধিপত্য বিস্তার করলেও ভিএক্সের অনুসারীরা বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) ও শুক্রবার দিনভর দেয়াল লিখনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে দিনভর দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। 

 

পরে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ এফ রহমান হলে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ভিএক্সের কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে বিজয় গ্রুপের কর্মীদের হল থেকে বের করে দেন। পরে বিজয় গ্রুপ আলাওল হলের মাঠে অবস্থান নিয়ে পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এদিকে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় সংঘর্ষে জড়ানো উভয়পক্ষ। 

 

 

 

বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা আল আমিন বলেন, ভিএক্সের কর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে ফায়ার করেছে। এরপর মুখঢাকা অবস্থায় হলে প্রবেশ করে বিজয়ের ছাত্রদের রুম ভাংচুর করছে। অনেকেই হলের রুমে আটকা পড়ছে। আমরা এর বিচার চাই।

 

ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, গতকাল ভোররাতে বিজয়ের ছেলেরা আমাদের দেয়াল লিখন মুছে দেয়। ভিএক্সের কর্মীরা এটার প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ বাধে। এখন ভিএক্সের কর্মীরা এ এফ রহমান হলে অবস্থান করছে। আর বিজয়ের কর্মীরা হলের বাইরে আছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।