চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর মকবুলিয়া কামিল ( এম.এ) মাদরাসায় ‘‘ অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর’’ নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৪ জানুয়ারি উক্ত মাদরাসায় এই পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকৃত উপজেলাধীন উত্তর হাশিমপুর (ভাই খলিফা পাড়া)’র নুর আহমদের মেয়ে শাহীদা আকতার নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গত ১৬ জানুয়ারির অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোট ১১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ৪ জন উত্তীর্ণ হই। ৩ জনের মৌখিক পরীক্ষায় কোনো প্রশ্ন না করে ২, ৪, ৫ নম্বর দিয়ে অন্যজনকে ৭ নম্বর দিয়ে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফলাফল বিবরণী কাঁটা-ছেঁড়া করে টাকার বিনিময়ে একজনকে নির্বাচিত করেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে নিয়োগ দেওয়ার জন্য যে পরীক্ষার নাটক সাজিয়েছেন, তাহা অত্যন্ত দুঃখজনক। জানা যায়, এ রকম একটি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ আতঙ্কের মধ্যে আছেন। মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও চন্দনাইশ পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা জানান, তিনি এবং অধ্যক্ষ নিয়োগ বোর্ডের সদস্য মাত্র। নিয়োগ পরীক্ষা নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে। আর্থিক লেনদেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন। অভিযোগকারী আরবি টাইপ ভালো না করায় সে নির্বাচিত হতে পারে নাই। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. নুরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারি বিধি মোতাবেক স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ ছিলনা। আগামী বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারি এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গভর্ণিং বডির সভা ডাকা হয়েছে বলেও জানান তিঁনি। দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাছরীন আকতার জানান, অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে, তা খোঁজ নিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
