চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়ার সাব-রেজিস্ট্রার শর্মি পালিতের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগে দলিল লেখক সমিতির ৩য় দফায় ৭ম দিনের কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
৭ আগষ্ট গাছবাড়ীয়া দলিল লেখক সমিতি সদস্যরা গাছবাড়ীস্হ সাব- রেজিষ্টার অফিসের সামনে তয় দফায় ৭ম দিনের কর্মবিরতি পালন করেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় সমিতির নেতৃবৃন্দ গনমাধ্যমকে জানান, এ বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহে চন্দনাইশে সাব রেজিষ্টার হিসাবে যোগদান করেন শর্মি পালিত। যোগদানের কয়েকদিন পর থেকেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিমাণ বাড়তে থাকে। কয়েক দফায় বৈঠক করে ও সুফল মেলেনি ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দাপ্তরিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে অত্র অফিসের দলিল লেখকদের লাইসেন্স বাতিল, দাতা- গ্রহীতা, সাক্ষী, সনাক্তকারীদের জেল জরিমানার ভয়, অফিস ফাঁকি দেওয়া, অতিরিক্ত ফি আদায়, ঘুষ আদায়, চেম্বার এবং এজলাসে ভিতরের সিটকিনি বন্ধ করে রেজিষ্ট্রি সম্পাদন, দলিল সম্পাদনে অনীহা, অসহযোগিতা ও সেচ্ছাচারিতা সহ নানান দূর্নীতিতে জড়িত অভিযুক্ত শর্মি পালিত।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ৮ তারিখ নিবন্ধ?ন শাখার মহা- পরিদর্শক শহীদুল আলম ঝিনুক স্বাক্ষরিত নোটিশে উক্ত বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে বারবার শর্মি পালিতের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ অধিদপ্তর বিব্রত বোধ করছেন এবং অভিযোগ গুলো অত্যন্ত গুরুতর যা সরকারি কর্মচারী চাকুরির শৃঙ্খলা ও আপিল বিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে উল্লেখ করেন। এবং কেন উনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্ত পূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বরাবরে লিখা হবেনা সুনির্দিষ্ট জবাব দিতে তিন দিন সময় দেয়া হয়।
তবুও থেমে নেই সাব-রেজিস্ট্রার,ইচ্ছে মাফিক চলছেন এমন অভিযোগ এনে শর্মি পালিতের অপসারনের দাবিতে ৩য় দফায় কর্মবিরতি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দলিল লেখক সমিতি। সাংগঠনিক সম্পাদক রহিম মোস্তফা'র সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সমিতির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম ও সাবেক সভাপতি ইদ্রিস চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ।
এব্যাপারে শর্মি পালিতের মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।