তীব্র শীতে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত রোগ জ্বর সর্দি কাশি কিংবা নিউমোনিয়ায়। এতে কোনো কোনো হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকটও।
জানা গেছে, রোগীর সবচেয়ে বেশি ভিড় রয়েছে নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে। এ হাসপাতালে ২২৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে প্রায় আড়াই শতাধিক শিশু রোগী। একই চিত্র চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। এ হাসপাতালে দুটি ওয়ার্ড মোট শয্যা রয়েছে ১০০টি। রোববার (৮ জানুয়ারি) পর্যন্ত দুটি ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিল ২৬৯ জন। এছাড়া হাসপাতালে শিশুদের ১০ শয্যার এনআইসিইউ’র সবগুলোই রোগীতে পরিপূর্ণ।
চমেক হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডা. মো. রেজাউল করিম বলেন, শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদের বেশিরভাগই শীতজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে। তবে কিছুদিন আগে অবস্থা আরও নাজুক ছিল। প্রায় চার শতাধিক রোগী ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র শীতে শিশুদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। তাদের যেন ঠাণ্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের গরম খাবার খাওয়াতে হবে। আর যদি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পায় অবশ্যই হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শামীম হাসান বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে শীতকালে শতকরা ৮০ ভাগ শিশু ভাইরাসজনিত রোগের শিকার হয়। এর মধ্যে ঠাণ্ডা বা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ যেমন: রাইনাইটিস বা সর্দি-কাশি, ব্রংকাইটিস বা হাঁচি-কাশি এবং ভাইরাল-নিউমোনিয়া সংক্রমণ, অ্যাজমা ও অ্যাটোপিকক্রাইনাটিস বাড়ছে। এছাড়া হালকা জ্বর ও বমিসহ রোটাভাইরাস, ডায়রিয়া, চিকেনপক্স, মিজেলস, ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত শিশু রোগী আসছে। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ রোগী বিভিন্ন উপজেলা এলাকার।