আজ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১
৯ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ

চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন সরফরাজ কারাগারে

মো . আলী আকবর : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৮ অগাস্ট ২০২২ ০৬:১৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

★ ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার এমআরআই মেশিনের বাজার মূল্য হলেও দেখানো হয়েছে ৯ কোটির বেশি 

★৪ টি কলার ডপলার বাজার মূল্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ হলেও দেখানো হয়েছে ২কোটি ৬০ লক্ষ টাকা 

★ বাকি ৪ আসামির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি 

 

দুইশ পঞ্চাশ শর্যা  বিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২০১৪ এর ২৯ মে থেকে ২০১৬ এর ৩০ জুনের মধ্যে যন্ত্রপাতি কেনাকাটার সময় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

২৮ আগস্ট রোববার দুপুরে মহানগর দায়রা ও স্পেশাল জজ ডা. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করা হয়। বাড়তি দামে যন্ত্রপাতি কিনে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকাআত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়া ৬ সপ্তাহের মেয়াদ শেষে এই আত্মসমর্পণ করেন।অন্য ৪ আসামিদের বিরুদ্ধে ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়।

 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালটেন্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।

 

বিষয়টি দৈনিক সাঙ্গুকে নিশ্চিত করেন দুদকের আইনজীবী কাজী সরওয়ার আহমদ লাভলু। তিনি জানান, আসামি উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষে মাননীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রর্থনা করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়  ২০১৪ সালে থেকে ২০১৬ মধ্যে   চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য দুই কোটি টাকায় একটি এমআরআই মেশিন কেনা হয়। যার বাজার ‍মূল্য ৬ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা। একইভাবে চারটি কালার ডপলার কেনা হয় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকায়। যদিও এই মেশিনের দাম মাত্র ৯৮ লাখ টাকা। এভাবে বাজার মূল্যের চেয়ে দুই-তিনগুণ বেশি দাম দেখিয়ে মোট ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর সাতজনকে আসামি করে দাঃবিঃ ৪০৯/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দূর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম ১-এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কেনার ক্ষেত্রে এ দুর্নীতি হয়েছিল বলে মামলার এজাহারে লেখা রয়েছে। ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জনের পাশাপাশি ওই সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়