আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ২১ খালের জরুরি সংস্কার প্রয়োজন : চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৬ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৩৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) বাস্তবায়নাধিন মেগা প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার আহ্বান জানিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের ৩৬টি খালের বাহিরে নগরীতে আরো ২১টি খাল রয়েছে। এই খালগুলো পূন:রুদ্ধারে জরুরী মনে করে সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে খাল উদ্ধার ও সংস্কারে ডিপিপি প্রস্তুতের কার্যক্রম শুরু করেছে। 
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। আগ্রাবাদ, গোসাইলডাঙ্গা ও হালিশহর এলাকা এমনিতেই নীচু এলাকা, জোয়ারের সময় এই এলাকাগুলো পানিতে ডুবে যায়। তদুপরি বর্ষা মৌসুমে অতিমাত্রায় বৃষ্টি হলে জোয়ারের পানি ও বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে তীব্র জলজটের সৃষ্টি হয়। এই জলজটের কারণে এলাকার জনসাধারনের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। 
বুধবার নগরীর গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডস্থ হাজী মোখলেসুর রহমান রোড সংলগ্ন মহেশ খালের উপর নির্মিতব্য ব্রীজের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জলজট নিরসনে নেয়া প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার মেগা প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না হওয়া এবং প্রকল্পের কাজের স্বার্থে খাল ও নালায় অস্থায়ী বাঁধের মাটি উত্তোলন না করার কারণে জলজটের ভোগান্তি থেকে এখনো চট্টগ্রাম নগরবাসী মুক্তি পাচ্ছে না। এবারের ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জলোচ্ছাসে আগ্রাবাদ ও দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জে ব্যবসায়িগণ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় পাঁচ শতাধিক গুদাম। 
সিটি মেয়র আরো বলেন, এই ব্রীজ নির্মাণের ফলে আগ্রাবাদ সংলগ্ন নীচু এলাকাগুলো জলাবদ্ধতা থেকে কিছুটা নিস্কৃতি পাবে বলে আশা করি। জনগণের স্বার্থে নগরীর উন্নয়নে চসিক, সিডিএ ও চট্টগ্রাম ওয়াসাসহ সকল সেবা সংস্থাকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। এই সমন্বিত কাজের মাধ্যমে নগরবাসি জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাবে। জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে জোয়ারের পানির প্রবেশ পথে স্থায়ী বাঁধ দেয়ার উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মেয়র গৃহকর নিয়ে একটি মহল কর্তৃক কর দাতাদের আতংকিত করার যে হীন প্রয়াস চালাচ্ছে তাতে কর্ণপাত না করে স্থানীয় কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আপীল বোর্ডের মাধ্যমে অসংগতিপূর্ণ গৃহকর শুনানীর মাধ্যমে সহনীয় পর্যায়ে কর নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে, তাতে কর দাতাদের আগ্রহ নিয়ে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানান।
গোসাইল ডাঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর জাফরুল হায়দার সবুজ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফেরদৌসী আকবর, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, আনোয়ার জাহান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল আজিজ মোল্লা, শেখ মো. আবদুল মজিদ, এহতেশামুুল হক শহীদ, কায়সার উদ্দিন, ওমর ফারুক, মাসুদ করিম, কারিনা বেগম নিজুলী প্রমুখ।



সবচেয়ে জনপ্রিয়