আজ শুক্রবার ৩ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ২ ঘণ্টায় শেষ বিজয় ও তুর্ণার টিকিট

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ২০২২ ০৪:৫৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনেও চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও অনেক যাত্রী মধ্যরাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। টিকিট বিক্রি শুরুর মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে সকাল ১০টায় শেষ হয়ে যায় চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস এবং ঢাকাগামী তুর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের সব টিকিট। এ সময় শেষ হওয়ার পথে ছিল ঢাকাগামী মহানগর গোধূলী, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা এবং সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট। 

 

 

আজ দেওয়া হয় ৩০ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। বুধবার (২৭ এপ্রিল) টিকিট বিক্রির শেষ দিনে দেওয়া হবে ১ মের টিকিট। গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়।

 

 

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী জানান, ‘মঙ্গলবার অগ্রিম টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিনে ৩০ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সকাল ১০টায় ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী তুর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট শেষ হয়ে গেছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ১০টি আন্তঃনগর এবং চাঁদপুরগামী দুটি  স্পেশাল ট্রেনের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে ১০টি আন্তঃনগর ট্রেনের সাড়ে ছয় হাজার টিকিট আছে। অর্ধেক টিকিট দেওয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে, বাকি অর্ধেক দেওয়া হচ্ছে অনলাইনে। চাঁদপুরগামী দুটি স্পেশাল ট্রেনের মোট এক হাজার ২৮টি আসন আছে। এরমধ্যে চাঁদপুরগামী স্পেশাল ট্রেন-১ এ আছে ৫১৪টি এবং চাঁদপুরগামী স্পেশাল ট্রেন-২ এ আছে ৫১৪টি আসন।’

 

 

এদিকে মঙ্গলবার অগ্রিম টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো মঞ্জুরুল ইসলাম নামে এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, ‘ভোর চারটায় সেহেরি খেয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি সিলেটগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস টেনের ৩০ এপ্রিলের টিকিটের জন্য। কিন্তু খুবই ধীর গতিতে কাউন্টারে টিকিট দেওয়া হয়। কাউন্টার থেকে একজনকে টিকিট দিতে নেওয়া হয় ১০ মিনিটের বেশি সময়।’ তার ওপর কিছুক্ষণ পর পর সার্ভার সমস্যার কারণে টিকিট দিতে বিলম্ব হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 

 

চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে কর্মরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা সালামত উল্লাহ বলেন, ‘খুবই সুশৃঙ্খলভাবে রেল স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার কারণে স্টেশন এলাকায় টিকিট কালোবাজারি দেখা যায়নি। টিকিট কালোবাজারি রোধে আমরা স্টেশন এলাকায় সতর্ক আছি।’

 

চট্টগ্রাম রেলস্টেশন সূত্র জানায়, ১ থেকে ৮ নম্বর কাউন্টারে পৃথক পৃথক ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে। ১ নম্বর কাউন্টারে নারীদের ও রেলওয়ের পাস টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ২ নম্বর কাউন্টারে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার), ৩ নম্বর কাউন্টারে পাহাড়িকা ও উদয়ন, ৪ নম্বর কাউন্টারে মহানগর গোধূলি ও মহানগর এক্সপ্রেস, ৫ নম্বর কাউন্টারে তুর্ণা এক্সপ্রেস, ৬ নম্বর কাউন্টারে চট্টলা ও বিজয় এক্সপ্রেস (স্নিগ্ধা, শোভন চেয়ার ও শোভন), ৭ নম্বর কাউন্টারে মেঘনা এক্সপ্রেস, চাঁদপুর স্পেশাল ট্রেনের টিকিট দেওয়া হবে। বাকি কাউন্টারে অন্যান্য ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।



সবচেয়ে জনপ্রিয়