আজ শনিবার ৪ মে ২০২৪, ২০শে বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে হবে ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৪৯:০০ অপরাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

গ্যাস ও জ্বালানি তেলের আমদানি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন বে-টার্মিনাল এলাকায় ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’ নির্মাণ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

 

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’ নির্মাণ সংক্রান্ত এক বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টার্মিনালটি দেশে আপদকালীন সময় জ্বালানি তেলের সংকট মোকাবেলায় গ্যাস ও জ্বালানির ‘স্টোরেজ ক্যাপাসিটি’ বৃদ্ধি এবং তরল জ্বালানি ও ভোজ্য তেল সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ ব্যবস্থায় সহায়ক হবে।

 

তিনি বলেন, আমরা তেল ও গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণের ব্যাপারে পজিটিভ আছি। দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে দ্রুত এ টার্মিনাল নির্মাণ করা উচিত। এটি নির্মিত হলে অন্যান্য বন্দরগুলোও বেনিফিট পাবে। তেল ও গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।

 

বৈঠকেনৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, ইস্ট কোস্ট গ্রুপ কোম্পানির চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

 

এদিকে টার্মিনালটি নির্মাণে হাইড্রোকার্বন ও নবায়নযোগ্য সেক্টরে সক্রিয় দেশের অন্যতম বৃহৎ ইস্ট কোস্ট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইসি হোল্ডিংস লিমিটেড আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় তেল ও গ্যাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইস্ট কোস্ট গ্রুপের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

 

সমঝোতা স্মারকের আলোকে বন্দরের বে-টার্মিনাল এলাকায় সংরক্ষিত জমি থেকে ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনালের’ জন্য ২০০ একর জমিতে রেফ্রিজারেটেড এলপিজি টার্মিনাল, ল্যান্ড বেইজড এলপিজি টার্মিনাল, পেট্রোকেমিক্যাল প্রসেসিং টার্মিনাল, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট স্টোরেজ টার্মিনাল এবং ভেজিটেবল অয়েল টার্মিনাল স্থাপনের জন্য কারিগরি সম্ভাব্যতা ও বাজার চাহিদা বিশ্লেষণ করে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি-বিদেশি বিনিয়োগসহ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।