চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে জমিয়তুল ফালাহ ময়দান। এবার সকাল সাড়ে ৭টায় ও সাড়ে ৮টায় দুটি জামাতে নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম ও প্রধান জামাতে জমিয়াতুল ফালাহের খতিব সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী এবং দ্বিতীয় জামাতে পেশ ইমাম হাফেজ মৌলানা আহমদুল হক ইমামতি করবেন।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) চসিক সূত্র জানায়, এবার ঈদগাহ মাঠে মুসল্লিদের সুবিধার্থে ১৫০টি ফ্যান ও সামিয়ানা থাকবে। অজু করার জন্য মসজিদের অজুখানার পাশাপাশি অতিরিক্ত গাড়িতে পানির সুব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। একইসঙ্গে ঈদের দিন মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
এবার নগরীতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে সকাল সাড়ে ৭টায় আটটি মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো– লালদীঘি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)। এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।
চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, স্বাভাবিক বৃষ্টিতে নামাজ বিঘ্নিত না হওয়ার জন্য মসজিদের আশপাশের নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া বৃষ্টি হলে পানির ঝাপটা থেকে বাঁচতে স্টেজের চার পাশে কাপড়ের পর্দা দেওয়া হবে। তবে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে পানি উঠলে মসজিদের ভেতরে জামাত হবে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের মাঠে কেন্দ্রীয় জামাতের প্রস্তুতি পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, আমরা বেলা ১১টা থেকে কোরবানির বর্জ্য পরিচ্ছন্ন করা শুরু করব। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে বিকেল ৫টার মধ্যে শহরকে বর্জ্যমুক্ত করার প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। অল্প কিছু প্রান্তিক এলাকায় কিছু জটিলতার কারণে সর্বোচ্চ সন্ধ্যা লাগতে পারে শেষ হতে। ৪৩০০ শ্রমিক ৩৪৫টি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন দিয়ে বর্জ্য পরিষ্কার করবে। এছাড়া এবার আমরা পশুর নাড়িভুঁড়ি নেওয়ার জন্য পলিব্যাগও দিচ্ছি।
