চট্টগ্রামে প্রতিবছর ১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় জুলুস পালন করা হয়। এ বছরও আগামী ৯ অক্টোবর (রোববার) সকাল ৯টা থেকে জুলুস শুরু হবে। আর এটি হবে চট্টগ্রামের ৫০তম জুলুস। এবারের জুলুস শুরুর আগে চট্টগ্রামে আয়োজিত জশনে জুলুসকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুলুস’ হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলতে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে জুলুস আয়োজনকারী সংস্থা। আর সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ওইদিন জুলুস পর্যবেক্ষণ করবেন গিনেজ বুক অফ ওয়াল্ড রেকর্ডের ম্যানেজমেন্ট টিম।
জশনে জুলুসের সময় কারও হাতে পতাকা, কারও মাথায় থাকবে বিশেষায়িত টুপি। তাদের বেশিরভাগই পড়ে আসবেন পাঞ্জাবি-পায়জামা। ‘ইয়া নবি সালাম আলাইকা’ স্লোগানে দলবেঁধে এদের কেউ আসবেন পায়ে হেঁটে, আবার কেউ ট্রাকযোগে। সবার গন্তব্য হবে- নগরের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসা। বিষয়টি শনিবার (৮ নভেম্বর) নিশ্চিত করেছেন আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি দাবি করেন, বছরের পর বছর চট্টগ্রামের জুলুসে মানুষের সমাগম বাড়ছে। এবারের জুলুসেও বিগত বছরের চেয়ে লোক সমাগম বেশি হবে। তিনি জানান, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্মদিন তথা ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে পৃথিবীতে যত জুলুস আয়োজিত হয়, তারমধ্যে চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আয়োজিত হওয়া জুলুসটি সবচেয়ে বড় জুলুস। তিনি দাবি করেন, ১৯৭৪ সালে চট্টগ্রামে বলুয়ারদিঘী খানকা-এ কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম জুলসটি বের করে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। তিনি জানান, জুলুসের অর্ধশত বর্ষকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি আয়োজন। গত এক মাস আগে থেকেই জুলুস সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার জন্য আনজুমানের নিজস্ব সিকিউরিটি ফোর্স ও গাউসিয়া কমিটির অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে।