নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তপসিলে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গত ২৬ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত নির্বাচনে চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে ২৭ বছর বয়সে সর্বাধিক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী হাসানুল ইসলাম আদর। গত রবিবার অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচন কার্যালয়ে হলফনামায় প্রদত্ত তথ্যমতে তার বয়স ২৭ দেখানো হয়েছে।
নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর ডুলাহাজারা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বৈরাগিরখিল এলাকার মকছুদ আলমের ছেলে।
শিক্ষা জীবনে তিনি চট্টগ্রামের কাপ্তাই সুইডিশ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে অটোমোবাইল নিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন।
নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। স্বপ্ন দেখতাম রাজনীতি করে কিভাবে জনসেবা করা যায়। সেই মনোবৃত্তি থেকে চাকরি না করে ব্যবসার পাশাপাশি এলাকায় নানা ধরণের জনসেবা ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের কাজে সম্পৃক্ত হই। দীর্ঘ ৪ চার বছর ধরে ডুলাহাজারা এলাকার জনপদে বিভিন্ন রাস্তাঘাট, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা ও হেফজখানায় ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। এছাড়াও বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ করোনাকালীন সময়ে এলাকার হতদরিদ্র,গরিব, অসহায় ও কর্মহীন জনগোষ্ঠীর মাঝে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজের সামর্থ্যানুযায়ী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। যার কারণে এলাকার জনসাধারণ অনুষ্ঠিতব্য ডুলাহাজারা ইউপি নির্বাচনে কাজের মূল্যায়ন করে আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছেন। তার জন্য ডুলাহাজারার সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আজীবন ঋনী ও কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, জনগণের বিপুল সমর্থনে ও তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদেপ্রার্থী হয়েছি। তাদের সমর্থন দিয়ে আজ আমাকে নির্বাচিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ‘গ্রাম হবে শহর’ সেইলক্ষ্য নিয়ে মাঠে কাজ করে যাব। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রত্যন্ত জনপদে জনগণের সমস্য চিহ্নিত করে উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে ডুলাহাজারা ইউনিয়নকে একটি মডেল ও আদর্শিক ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো।