আজ মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১
লড়াই হবে পেয়ারুল-নারায়নের মধ্যে

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাচন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৭ অক্টোবর ২০২২ ০১:০৩:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

 

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রযেছে মাত্র দুইজন প্রার্থী। আজ সোমবার ভোটাররা ভোট দিয়ে দুইজন থেকে একজনকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করবেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত এটিএম পেয়ারুল এবং জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির মহাসচিব নারায়ণ রক্ষিত। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হুমকি এবং প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীকে অপহরণের অভিযোগ এনে গত ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নারায়ণ রক্ষিত। বিভিন্ন হুমকি দুমকির পরও নির্বাচনে মাঠে রয়েছে নারায়ন রক্ষিত। এরপর কৃষক লীগ নেতা ফয়েজুর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আওয়ামী লীগের প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ‘খালি মাঠে গোল দেবেন। কিন্তু নারায়ণ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় সেটি সম্ভব হয়নি।  আজ ১৭ অক্টোবর নির্বাচনে এ টি এম পেয়ারুল ইসলামের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়বেন নারায়ণ রক্ষিত। আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রার্থী নারায়ন রক্ষিতের পক্ষে আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ নিরবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। নারায়র রক্ষিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার আগে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে আলাপ করে প্রার্থী হয়েছেন বলে দাবি করেন। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকার পেছনেও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের ইশারা রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, জাতীয় হিন্দু মহাজোটসহ কয়েকটি সংগঠন নারায়ন রক্ষিতের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দীপক কুমার পালিত জানিয়েছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এটিএম পেয়ারুল ইসলামের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তার বিজয় কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানকে রিটার্নিং অফিসারের পদ থেকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন। এর ফলে শুরু থেকেই আলোচনার শীর্ষে আছে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচন। এ অবস্থায় মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষদিন পার হওয়ার পর রিটার্নিং অফিসার চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামানের কার্যালয় থেকে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়।  মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্ধারিত সময়ে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী, তিনজন সংরক্ষিত এবং আটজন সাধারণ সদস্য প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। একমাত্র প্রার্থী অবশিষ্ট থাকায় পাঁচটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে দু’জন, সংরক্ষিত পদে ২১ জন এবং ১০টি ওয়ার্ডের ৩৯ জন সাধারণ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন ১৫টি ওয়ার্ডে স্থানীয় সরকারের মোট ২ হাজার ৭৩০ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ইভিএম’র মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর প্রার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হযেছে। এরমধ্যে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম (আনারস), জয় প্রকাশ নারায়ন রক্ষিত  (মোটরসাইকেল) প্রতীক বরাদ্দ পান। জাতীয় হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দীপক কুমার পালিত বলেন, আমরা আওয়ামী পরিবারের সদস্য আমাদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতারা রয়েছে। এটিএম পেয়ারুল ইসলামের তুলনায় আমাদের প্রার্থীর গ্রহণ যোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা বেশী রয়েছে। এছাড়া মানুষ উত্তর দক্ষিন ভাগ হয়ে গেছে দক্ষিণ অঞ্চল থেকে আমরা ৮০ ভাগ ভোট আমাদের পক্ষে আসবে এবং আমাদর প্রার্থী বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আওয়ামী লীগ সমর্থিতজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম (আনারস) বলেন, ‘নির্বাচন গণতান্ত্রিক উপায়ে হবে। কে কোন দলের প্রার্থী সেটা মূখ্য নয়, প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশের সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করার প্রসঙ্গে বলেন, যেখানে দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে সেখানে দলের বাইরে গিয়ে কেউ অন্য প্রার্থীকে সমর্থন এবং ভোট দিবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না, নির্বাচনে কে বিজয় হবে ভোটারা এখন থেকে ধরে নিয়েছে।