কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে উপজেলা পর্যায়ের সাহিত্যিকদের সৃষ্টিকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সার্বিক সহযোগিতায় সাহিত্য মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন মধ্যদিয়ে
উপজেলা অডিটরিয়াম সুগন্ধায় ২ দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সাহিত্য মেলা ও বইমেলা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম। আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক uiকেন্দ্রের পরিচালক মং ছেন লা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.রাহাত উজ জামান প্রমূখ।
উপজেলা সাহিত্য মেলা উদ্যাপনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, আবহমান বাংলার ঐতিহ্য কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ধারণ, লালন, সংরক্ষণ ও বিকাশের প্রয়াসে উপজেলার তৃণমূল পর্যায়ে কবি ও সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী ‘সাহিত্য মেলা আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় কবি ও সাহিত্যিকদের প্রকাশিত গ্রন্থের উন্মুক্ত বুক স্টলের ব্যবস্থা হয়েছে।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, সাহিত্যকে গণমুখী করার কথা বলে গেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাহিত্য হতে হবে মানুষের জন্য। স্থানীয় সাহিত্যিকদের কেন্দ্রীয় সাহিত্যে একীভূত করতে সারাদেশে উপজেলায় পর্যায়ে সাহিত্য মেলার আয়োজন চলছে। সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এমপি জাফর আলম বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সোনার বাংলা গড়তে হলে তৃণমূলের সাহিত্য-সংস্কৃতিকে জাগিয়ে তুলতে হবে একই সাথে ‘কবি সাহিত্যিকরা মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা অনুভূতির দুয়ারটাকে খুলে দেয়। অনুভূতি ছাড়া একটা মানুষ পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারে না। সেটি তীব্র হতে পারে, বাস্তব হতে পারে, কল্পনা হতে পারে আবার সৃষ্টিও হতে পারে। যা কবি ও সাহিত্যিকদের কলমের তুলিতে ফুটে ওঠে।‘
জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক কবি-সাহিত্যিক ও লেখক। তাঁদের সাহিত্যকর্ম সাধারণ মানুষের সামনে তুলে আনাই হচ্ছে এই সাহিত্য মেলা
আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, কবি সাহিত্যিকদের আলোচনা সভা, কর্মশালা শেষে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে কবিদের সাহিত্যপাঠ, স্বরচিত কবিতা, ছড়া, কথাসাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও কেন্দ্রের বাইরে বসানো বইমেলা খোলা থাকবে সন্ধ্যা পর্যন্ত।