আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মহাসড়কে সিএনজি ও ট্রলি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ

চকরিয়ায় গর্ভবতী নারীসহ নিহত-২, শিশুসহ আহত-৪

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২৪ অগাস্ট ২০২৩ ০৭:০২:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় লরি ও সিএনজি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে রোকেয়া বেগম (৩৩) ও জিয়াসমিন আক্তার (২০) নামে এক  গর্ভবতী নারীসহ ২জন ঘটনাস্থলে  নিহত হয়েছে। এসময় শিশুসহ আরো 

৪ জন সিএনজি যাত্রী গুরুতর আহত হয়।তৎমধ্যে নিহত জিয়াসমিন আক্তার গর্ভবতী ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানায়। দুর্ঘটনায় আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করেন।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বানিয়ারছড়া সংলগ্ন আমতলী নামক এলাকায় মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনা ঘটে।

 

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের আবদুস সালামের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৩৩), চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভান্ডারিরডেবা এলাকার মামুনুর রশিদের গর্ভবতী স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তার (২০)।

এ ঘটনায় অপর আহত ব্যক্তিরা হলেন, 

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের তাজিম রহমানের পুত্র দুদু মিয়া (৪৮), তার স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪০), একই উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ার ছড়া এলাকার মোহাম্মদ কাসেমের স্ত্রী বুলবুল জন্নাত (৩০), তার শিশু কন্যা তানিয়া সোলতানা (৬)। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিরা একে অপরের নিকটাত্মীয় বলে জানা গেছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে হারবাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ভান্ডারিরডেবা থেকে সিএনজি গাড়ি নিয়ে মামুনুর রশিদের গর্ভবতী স্ত্রী জিয়াসমিন আক্তারসহ ৬ জন পরিবারের অপরাপর সদস্য চকরিয়া হাসপাতালে যাচ্ছিল। প্রতিমধ্যে কক্সবাজার- চট্টগ্রাম মহাসড়কের বানিয়ারছড়া সংলগ্ন আমতলী নামক এলাকায় পৌঁছালে

বিপরীত দিক থেকে ছেড়া আসা চট্টগ্রাম অভিমুখী ট্রলি গাড়ির হঠাৎ চাকা নষ্ট হয়ে গেলে গাড়িটি সিএনজি সাথে মুখামুখি সংঘর্ষে ঘটে দুমড়ে মুচড়ে পাশ্বোক্ত খাদে পড়ে যায়। এতে সিএনজি গাড়ির যাত্রী রোকেয়া বেগম (৩৩) ও গর্ভবতী জিয়াসমিন আক্তার (২০) ঘটনাস্থলে 

নিহত হন। এছাড়াও শিশুসহ আরো ৪জন সিএনজি যাত্রী গুরুতর আহত হয়।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করেন। তৎমধ্যে আহতদের দ্রুত চিকিৎসার জন্য চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। আহতদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক হলে হাসপাতালের কর্তব্যরতর চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চমেক হাসপাতালে রেফার করেন।

 

মহাসড়কের চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (এস আই) খোকন কান্তি রুদ্র  বলেন, দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুইটি জব্দ করা হয়েছে। নিহত দু'জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে আইনী প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করা হবে। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।