কক্সবাজারের চকরিয়ায় খামারঘরে হামলা চালিয়ে কেয়ার টেকারের স্ত্রীকে মারধরে করে গরু-ছাগল, গাছপালা ও ধান লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে খামার মালিক মো.শাহেদুল মোস্তফা দাবী করেন।
মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছাইরাখালী ভরারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছায়রাখালী ভরারচর এলাকায় শাহেদুল মোস্তফার মালিকারাধীন বেশকিছু জমি রয়েছে। ওইসব জমিতে ধান ও বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেত ও গরু-ছাগল লালন পালন করে আসছে। খামার ঘরে কেয়ারটেকার হিসেবে রয়েছে হাবিব উল্লাহ লেদু ও তার পরিবার। সকালে ছায়রাখালী এলাকার জামাল উদ্দিন ও আবদুল আজিজ পুতুর নেতৃত্বে ২০-২৫ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে খামার বাড়ি ভাংচুর, মালামাল ও গরু লুট করে নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা শবে মেহরাজকে খামার ঘর থেকে বের হয়ে চলে যেতে বলে। ওই সময় সে প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে খামার ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সন্ত্রাসীরা ২০বস্তা ধান, ক্ষেত বিক্রয়ের নগদ ২৫ হাজার টাকা, ৫০টি ম্যালেরিয়া গাছ, ৪টি গরু, ১২টি ছাগল ও ধানের বীজতলা ও ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। এ সব মিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে সন্ত্রাসীরা।
খামার মালিক শাহেদুল মোস্তফা বলেন, সন্ত্রাসীরা খামারের কেয়ারটেকারের স্ত্রীকে মারধর কর গুরুতর আহত করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে যেতে দেয়নি। পরে জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিলে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শবে মেহেরাজকে উদ্ধার করে হাসপাপাতালে ভর্তি করেন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মনজুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, খামারবাড়িতে লুটপাটের ঘটনায় থানার একটি এজাহার দেয়া হয়েছে। আহত নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিয়ষটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।