আজ শনিবার ৪ মে ২০২৪, ২১শে বৈশাখ ১৪৩১
ছিনতাইয়ের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ

চকরিয়ায় উপকূলীয় বদরখালীতে দু'জনের হাত-পা বিচ্ছিন্ন, একজনের মৃত্যু

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া (কক্সবাজার) : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৪৮:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপকূলীয় বদরখালী এলাকায় ছিনতাইকারী টাকা ভাগাভাগি ও আধিপত্য বিস্তারের বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় দু'জনের একটি করে হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) 

হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ফজলে হাসান রিয়াদ (২৮) নামে এক যুবক হাসপাতালে নেয়ার পথে রাতে মৃত্যু হয়।

শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ফেরিঘাটের দক্ষিণে টুঠিয়াখালী পাড়ার রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত ফজলে হাসান রিয়াদ ওই এলাকার  ফরিদুল ইসলাম প্রকাশ লম্বা ফরিদের ছেলে।

আহতরা হলেন, বদরখালী ইউনিয়নের টুঠিয়াখালী পাড়া এলাকার আবদুর জলিলের ছেলে এক হাত বিচ্ছিন্ন হওয়া মোহাম্মদ ছোটন (২৫) ও একই ইউনিয়নের মাতারবাড়ি পাড়ার বারেক আহমদের ছেলে।  গুলিবিদ্ধ হওয়া জিদান আল নাহিয়ান (২০)।

 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়নে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দল মোটরসাইকেল চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড করছে বলে তথ্য রয়েছে। অপরাধ কর্মকাণ্ডের টাকার ভাগ–বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা। শুক্রবার রাতে মোটরসাইকেল যোগে রিয়াদ ও ছোটন বদরখালী বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথিমধ্যে টুটিয়াখালী মসজিদের সামনে পৌঁছালে তাদের ওপর হামলা চালায়।

এতে রিয়াদের হাতে কোপ ও ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন এবং ছোটনের মাথায় কোপ ও হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।  দু'জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত  জিদানের পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক। 

 

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রাথমিক ভাবে এ ঘটনাটি ছিনতাইয়ের ঘটনা হতে পারে। দুই গ্রুপের ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। পরিবারের পক্ষে অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।