আজ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ই বৈশাখ ১৪৩১

চকরিয়ার গরু চোর সিন্ডিকেটের অন্যতম সন্ত্রাসী লেদু গ্রেপ্তার : ৬টি বন্দুক ও ১৩ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ ২০২২ ০৪:৩৪:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজারের চকরিয়ায় র‌্যাব-১৫’র একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে মো.লেদু মিয়া (৪৬) নামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তার কাছ থেকে ছয়টি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক ও ১৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। 

বুধবার (১৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে র‌্যাব-১৫’র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 গ্রেপ্তারকৃত- মো.লেদু মিয়া (৪৬) চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কোরালখালী এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে ও  ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নবী হোসেনের ভাই। 

র‌্যাব-১৫’র সহকারি পুলিশ সুপার মো.বিল্লাল উদ্দিন (এএসপি) প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে জানান, লেদু মিয়া একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র বেচাকেনা, মাছের ঘের দখল ছাড়াও গরু চোর সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য। তাকে ধরতে বেশ কিছুদিন ধরে র‌্যাব-১৫’র নিজস্ব সোর্স কাজ করছিলো। 

সোর্সের মাধ্যমে র‌্যাব-১৫ এর কাছে গোপন সংবাদ আসে সন্ত্রাসী লেদু মিয়া উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের চৌয়ারফাঁড়ি স্টেশনের আবদুল মান্নানের খামার বাড়িতে অপরাধমুলক কর্মকান্ড করার জন্য অবস্থান করছে। পরে র‌্যাব বুধবার ভোর ৫টার দিকে ওই খামার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে লেদু মিয়াকে গ্রেপ্তার করি। এসময় সন্ত্রাসী লেদু মিয়া র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করে। তার স্বীকারোক্তি মতে আব্দুল মান্নানের খামার বাড়ির একটি সেমিপাকা ঘরের ভিতর খাটের নিচে প্লাস্টিকের বস্তার করে লুকিয়ে রাখা ছয়টি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুুক এবং ১৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করি। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তীতে র‌্যাব আরও উল্লেখ করেন, সন্ত্রাসী লেদু মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, গরু চুরি, মারামারিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে ওইদিন হস্তান্তর করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি'র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃত মো.লেদু মিয়াকে বুধবার রাতে র‍্যাব থানায় হস্তান্তর করেছেন। এ ঘটনায় র‌্যাবের এক কর্মকর্তা বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারটি মামলা হিসেবে চকরিয়া থানায় রেকর্ড করা হয়েছে।