দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে কক্সবাজারের এই দুই উপজেলার ১৬ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউনিয়নে দলীয়ভাবে অংশ না নিলেও বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় রয়েছেন।
বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের আফজালুর রহমান চৌধুরী, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের মো. সাইকুল ইসলাম, কোনাখালী ইউনিয়নের দিদারুল হক সিকদার, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের কামরুজ্জামান সোহেল, পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের রবিউল এহেসান লিটন, কাকারা ইউনিয়নের মো. সাহাব উদ্দিন ও ইছমত-ই-এলাহী এবং পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছদর উদ্দিন ওমর রিয়াজ চৌধুরী, রাজাখালী ইউনিয়নের সৈয়দ নুর ও উজানটিয়া ইউনিয়নের তোফাজ্জল করিম।
এদের মধ্যে কোনাখালী ইউনিয়নের দিদারুল হক ও রাজাখালীর সৈয়দ নুর বর্তমান চেয়ারম্যান।
এদিকে চকরিয়ার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাবলা অভিযোগ করেছেন, নৌকার বিজয় ঠেকাতে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া রবিউল এহেছান লিটন কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি। কিন্তু তার বর্তমান সংগঠন যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়নি। উপরন্তু জেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকল্পে কেন্দ্রের কাছে প্রেরিত প্রস্তাবিত কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদকীয় পদে রবিউল এহেছান লিটনের নাম রাখা হয়েছে। যুবলীগের অনেক নেতাকর্মী নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান করে রবিউলের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণায় নেমেছেন। রবিউলের ব্যাপারে জেলা যুবলীগ একেবারেই নমনীয় হওয়ায় বিষয়টি কেন্দ্রীয় যুবলীগের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, যারা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবে না, তাদের স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে সুপারিশ করা হবে। এছাড়া যেসব নেতাকর্মী দলীয় প্রতীক নৌকার পক্ষে কাজ করবে না তাদেরকেও দল থেকে বহিস্কার করা হবে।