বন নির্ভরশীলতা কমাতে বিকল্প জীবিকায়নের জন্য গ্রাম সংরক্ষণ কমিটি (ভিসিএফ) সদস্যদের মাঝে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষুদ্র মূলধন অনুদান বিতরণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি ও ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ৪৬ টি ভিসিএফের সদস্যরা ইউএসএআইডি এর ইকো লাইফ প্রকল্পের আওতায় এই সহায়তা পেয়েছে।
এ উপলক্ষে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে খুটাখালী মেদাকচ্ছপিয়া সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার।
তিনি বলেন, বন ও প্রকৃতি রক্ষা করতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তা দিচ্ছে। গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে। তাই মানুষ আগের মতো এখন বনের গাছ কাটতে যায় না। অনেক সচেতন হয়েছে।
ডিএফও বলেন, অর্থ ও সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের নিজেদের সাবলম্বি করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন মেদাকচ্ছপিয়া সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি (সিএমসি) সভাপতি সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নেকমের উপপ্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান ও সহকারী বনসংরক্ষক (ফুলছড়ি) শীতল পাল।
নেকমের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাইয়ুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফুলছড়ি রেঞ্জ অফিসার হুমায়ূন আহমেদ, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ অফিসার মেহেরাজ উদ্দিন, নেকমের চকরিয়া সাইট অফসার সিরাজুম মুনির বক্তব্য দেন। এ সময় বিট অফিসারবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকল্প জীবিকায়নের মাধ্যমে বন রক্ষার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন ফাঁসিয়াখালী সিএমসি সভাপতি ও ডুলাহাজারা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী।
যাদের জীবন জীবিকা এক সময় বননির্ভর ছিল তারা নেকমের সহায়তায় এখন অনেকটা বনবিমুখ। গবাদিপশু লালন পালন, শাক সবজি চাষ, হস্তশিল্পসহ নানামুখী বিকল্প পথে জীবিকা নির্বাহ করছে।
অনুষ্ঠানে উপকারভোগীরা অনুভূতি প্রকাশ করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। নিজেদের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের গল্প তুলে ধরেন। এ জন্য বনবিভাগ ও নেকমসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, পাহাড় ও বনভূমির সাথে জীবন-জীবিকা সম্পর্কিত। অথচ পাহাড় ও গাছ কেটে আমরা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছি। পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।