আজ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গভীর রাতে দরিদ্র ও গরীব মানুষের দুয়ারে দুয়ারে কম্বল নিয়ে ইউএনও

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া: | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ ০৫:২৭:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

ঘনকুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহে কনকনে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত।

দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু ও মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এ কনকনে শীতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন 

সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী পরিবার, অসহায়, গরিব ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

শনিরাব গভীর রাতে ও রোববার বিকেলে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নস্থ ও ফাঁসিয়াখালীস্থ সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পে  ইউএনও মো: ফখরুল ইসলাম শীতার্ত মানুষের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করেন।

 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা প্রশাসন থেকে ১৮টি ইউনিয়নের জনগণের মাঝে বিতরণের জন্য সরকারি ভাবে ৭ হাজার ৬০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গভীর রাতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাকারা ইউনিয়নস্থ ও ফাঁসিয়াখালীস্থ আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী পরিবার, সাহারবিল ইউনিয়নের জলদাস পাড়া এবং বিভিন্ন জনপদের অসহায়, গরিব ও ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষের কষ্ট নিবারণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ প্রায় ৫শত পরিবারকে কম্বল 

বিতরণ করা হয়। কনকনে এ শীতের সময়ে আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী কোন পরিবার, ছিন্নমূল মানুষের যেন শীতে কষ্ট না পাই সেইলক্ষে দরিদ্র ও অসহায় এসব পরিবারের হাতে শীত নিবারণের জন্য কম্বল তুলে দেন ইউএনও ফখরুল ইসলাম।

কম্বল বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাথে এসময় উপস্থিত ছিলেন, চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা 

আবুল হাসনাত সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশসহ প্রশানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ফখরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে শীতার্ত মানুষের জন্য প্রাথমিক  ভাবে ৭ হাজার ৬০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এছাড়াও উপকারভোগী, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাসহ অসহায়, ছিন্নমূল ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়। বিগত দু'দিন ধরে উপকারভোগীদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় এসব কম্বল। পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে শীতবস্ত্র হিসেবে এসব কম্বল আরো দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।