আজ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ই চৈত্র ১৪৩০

খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩২ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৬ জুলাই ২০২২ ০৫:৩৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

দেখতে সুন্দর, আকারে বড় হওয়ায় চট্টগ্রামের মানুষের পছন্দের শীর্ষে থাকত ভারতের নাসিক পেঁয়াজ। দেশি পেঁয়াজের চেয়ে দামও কম থাকতে আমদানি করা পেঁয়াজের। এবার উল্টো চিত্র ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। পেঁয়াজের আড়তগুলো ভরা দেশি সোনালি পেঁয়াজে। দামও কম আমদানি করা পেঁয়াজের তুলনায়। বেপারীরা বলছেন লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ।  

বুধবার (৬ জুলাই) সরেজমিন এমন চিত্রই দেখা গেছে ভোগ্যপণ্যের বড় পাইকারি বাজারটিতে। এখান থেকে মৌসুমি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ, রসুন, আদা কিনে রিকশাভ্যানে নগরের অলিগলি, রাস্তার মোড়ে সীমিত লাভে বিক্রি করতে দেখা গেছে।   

পাবনার বেপারী সিদ্দিক আলম খাতুনগঞ্জে অবস্থান করছেন কয়েক সপ্তাহ হলো। টেলিফোনে অর্ডার দিয়ে পাবনা থেকে কয়েক ট্রাক পেঁয়াজ এনে বিভিন্ন আড়তে বণ্টন করে দিয়েছেন। কিন্তু তার কপালে চিন্তার ভাঁজ। প্রতিদিনই কমছে পেঁয়াজের দাম।  

হতাশ কণ্ঠে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি দামে কেনা, গাড়িভাড়া, নিজের থাকা-খাওয়া মিলে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে ৪২ টাকা খরচই পড়ে। এখন সেই পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৩২-৩৫ টাকা। একে তো পচনশীল পণ্য, তার ওপর আবহাওয়া বেশি গরম। বেশ দুশ্চিন্তায় আছি।

তিনি জানান, ১ হাজার ৬০০ টাকা প্রতিমণ পেঁয়াজ কেনা। এক ট্রাকে ১৩ থেকে সাড়ে ১৩ টন পেঁয়াজ আসে পাবনা থেকে। ভাড়া পড়ছে ২৭ হাজার টাকা। পড়তা মিলছে না।  

খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়তে চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, চীনা আদা ৬০-৭০ টাকা।  

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদ উল্লাহ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, দেশি পেঁয়াজের দাম কমছে। মান ও আকার ভেদে প্রতিকেজি আজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা। কয়েকদিন আগেও এ পেঁয়াজ ৪২-৪৫ টাকা ছিল। ভারতের নাসিক পেঁয়াজ খুব বেশি নেই বাজারে। যা আছে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। চীনা রসুন ৮৫-৯০ টাকা, চীনা আদা ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।  

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়