কক্সবাজার সিটি কলেজে শিক্ষকের হাতে ইনতিসার একরাম রাহি (১৭) নামক শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে কলেজ ক্যান্টিনে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় কলেজের ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আহত ইনতিসার একরাম রাহি একাদশ মানবিক বিভাগের ছাত্র। সে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তার পিতা এডভোকেট একরামুল হুদা কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পি.পি।
অভিযুক্ত শিক্ষক গোপাল কৃঞ্চ দাস বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক।
আহত ইনতিসার একরাম রাহি বলেন, কলেজে চারটি ক্লাস শেষ করে দুপুর ১২টার দিকে ক্যান্টিনে ৩০/৪০ জন বন্ধুসহ নাস্তা করতে যাই। কিছুক্ষণ পর বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক গোপাল কৃঞ্চ দাস এসে আমার শার্টের কলার টেনে ধরে। তারপর আংটি পরিহিত হাতে আমার চোখ লক্ষ করে কয়েকটি কিল-ঘুষি মারে। এতে আমি আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যাই। অনেকক্ষণ ধরে অজ্ঞান ছিলাম। সহপাঠীরা আমাকে উদ্ধার করে। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারি, কলেজ ক্যান্টিনের বাইরে আরেকটি ফ্লায়িং ক্যান্টিন রয়েছে। সেটি গোপাল স্যারের নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হয়। ওই ক্যান্টিনে সকল নাস্তার দাম বেশি। তাই ছাত্রছাত্রীরা ওখানে যায় না।
মূলতঃ কলেজের ক্যান্টিন বিমুখ ও শিক্ষার্থীদের ভীতসন্ত্রস্ত করতে এমন ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহত শিক্ষার্থী ইনতিসার একরাম রাহি।
ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক গোপাল কৃঞ্চ দাসের নিকট জানতে চাইলে বলেন, শিক্ষার্থীরা ক্লাস না করে ক্যান্টিনে গিয়ে উচ্চবাচ্য করছিল। ফ্যাকাল্টির দায়িত্বশীল হিসেবে তাদের ক্লাসে যেতে বলি। আমি ইন্টেনশনালি কিছু করিনি। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে এই প্রথম এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ক্যাথিংঅং বলেন, ক্লাস সময়ে ক্যান্টিনে বসে কিছু শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলা করছিল।
গোপাল কৃঞ্চ দাস কমার্স ফ্যাকাল্টির দায়িত্বশীল হিসেবে শিক্ষার্থীদের শাসন করতে গিয়ে 'পদ্ধতিগত ভুল' হয়ে গেছে। তবে তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থী এবং ওই শিক্ষককে ডেকে সমাধান করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান অধ্যক্ষ।