সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সপ্তম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অঝোরে কাঁদলেন মামলার ২ নম্বর আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাস। বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় আদালতের কার্যক্রম শেষে এজলাস থেকে বের করে আসামিদের প্রিজনভ্যানে তোলার সময় তাকে কাঁদতে দেখা যায়।
এ সময় হাতকড়া পরা ওসি প্রদীপের দুই পাশে ছিলেন কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস ও পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।
এর আগে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালতে আনা-নেওয়ার সময় এভাবে প্রকাশ্যে কখনো কাঁদেননি ওসি প্রদীপ।
সপ্তম ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তার কান্নার কারণ জানতে চাইলে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, ‘ওসি প্রদীপ হয়তো বুঝতে পেরেছেন শিগগিরই নিজ অপরাধের শাস্তি পেতে যাচ্ছেন তিনি। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তাকে হত্যা করে যে অপরাধ তিনি করেছেন তার জন্য হয়ত অনুশোচনা কাজ করছে। আর নিশ্চিতভাবে তাকে অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। সেই আশঙ্কায় তিনি কাঁদছেন।’
এদিকে এ মামলার সপ্তম দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ২৯ ও ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইলের আদালত।
৬৫তম সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের জেরা অসমাপ্ত রেখে সপ্তম ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।