মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের কল্যাণ পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকীব। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে দলের নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাকীব।
তিনি বলেন, দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এমপি হওয়ার পর দলের আদর্শ থেকে সরে এসেছেন। একইসঙ্গে দলে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছেন তিনি। এসব কারণে কল্যাণ পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছি। দলটির আরও ৮-১০ জন নেতা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করবেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
এদিকে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সাকীব বলেন, আমি ইবরাহিম সাহেবের জন্য দোয়া করি। আল্লাহ তায়ালা উনাকে বুঝ দান করুন এবং জনগণের মনের ভাষা বোঝার তাওফিক দান করুন। শুধুমাত্র এমপি হওয়া একজন মানুষের লক্ষ্য হতে পারে না। রাজনৈতিক দল হতে হবে জনগণের কল্যাণের জন্য।
শুধুমাত্র নিজের পরিবারের বিলাসিতার আকাঙ্ক্ষা পূরণ করাই যাদের উদ্দেশ্য তাদের দিয়ে জনগণের কোন কল্যাণ হবে না। অতএব বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একমত পোষণ করে ইবরাহিম সাহেবের যথেষ্ট হুমকি (বিশেষ বাহিনী দিয়ে আমার ক্ষতি করা) উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন নিজেকে পুনরায় শামিল করলাম।
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে কল্যাণ পার্টিতে বিভক্তি দেখা দেয়। তখন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে ‘বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি’র চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন পারভেজকে নতুন কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আবু হানিফকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব করা হয়।
আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকীবের পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম মুঠোফোনে বলেন, রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা, অভিপ্রায় প্রতিফলিত না হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। এটি তার ব্যক্তিগত অধিকার। তবে, কল্যাণ পার্টিতে আড়াই বছর তার অনেক অবদান রয়েছে। সাকীবের জন্য শুভকামনা রইলো।