গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর মাদক ডিলার সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করে র্যাব। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে কর্ণফুলী থানাধীন শাহমিরপুর বাদামতল এলাকার একটি বসত বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রামের দুই মাদক ব্যবসায়িকে আটক করতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে, বসত বাড়ীর পাশে একটি গুদাম ঘরের মাটির নীচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় আনুমানিক ২ লক্ষ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং পানির নীচে বিশেষ কায়দায় পলিব্যাগে করে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ২টি ওয়ান শুটারগান ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধারসহ দ্জুনকে গ্রেফতার করা হয়।
কয়েক মাস ধরে মাদকের বড় ডিলার ধরার জন্য হন্য হয়ে খুঁজছিল র্যাব। সেই আলোচিত বড় ডিলার মোঃ আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬) কে তার এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) র্যাব। তাদের কাছ থেকে র্যাব সদস্যরা উদ্ধার করেছে ২ লক্ষ ২০ হাজার পিস ইয়াবা। জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে দেশীয় তৈরি দুটি আগ্নেয়াস্ত্র।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টায় র্যাব-৭ চট্টগ্রাম এর একটি দল কর্ণফুলী থানাধীন শাহমিরপুর বাদামতল এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন-কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান শাহমীরপুর উজির খান চৌধুরী বাড়ির মৃত সুলতান আহমেদ পুত্র মোঃ আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬), মোঃ আব্দুল নুর এর পুত্র মোঃ রুবেল হোসেন (৩০)।
রবিবার দুপুরে র্যাব-৭ এর সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এম এ ইউসুফ।
র্যাবের এই অধিনায়ক আরও জানান, প্রায় ৫/৬ বছর পূর্ব হতে আজিম ইয়াবা ব্যবসার সাথে যুক্ত রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় সে মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট এর ক্যারিয়ার বা সরবরাহের কাজ করত পরবর্তীতে ইয়াবা ট্যাবলেটের বড় চালান প্রপ্ত হয়ে তার বসতবাড়ীর টিনশেড বেষ্টিত একটি ঘরের মধ্যে মাটিতে গর্ত করে বস্তায় মোড়িয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট এবং দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও গোলাবারুদ মাটি চাপা দিয়ে মজুদ করে রাখত। পরবর্তীতে সেগুলো থেকে খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিকট ছোট ছোট প্যাকেটে করে ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান সরবরাহ করত।
গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে র্যাব জানাযন, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো দিয়ে তারা স্থানীয়ভাবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো এবং মাদকদ্রব্য জন্য-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্যবহার করত। অস্ত্র ও গোলাবারুদ সে বাশঁখালীর কথিত অস্ত্র ব্যবসায়ী শহিদ এবং ছৈয়দের নিকট হতে সংগ্রহ করত বলে জানায়।
আরও জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সাগরপথে মায়ানমার হতে সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মাদক দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে পরবর্তীতে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট খুচরা ও পাইকারীভাবে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা । গ্রেফতারকৃতদের এবং উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান চট্টগ্রাম র্যাব ৭ অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এম এ ইউসুফ।
সংবাদ সম্মেলেনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম র্যাব ৭ এর ব্যাটালিয়ন উপ-অধিনায়ক মেজর রিজোয়ান, সিনিয়র এএসপি মুরাদ, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ নূরুল আবছার।