কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠার ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন- কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটানো হবে, জালিম সরকারের নিকট বেগম জিয়ার মুক্তি দাবি করব না। আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনব ইনশাল্লাহ।
তিনি গত ৫ আগস্ট শুক্রবার আল ওমান কমিউনিটি সেন্টারে বড় উঠান বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
বড় উঠান ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিস হায়দার নয়নের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এইচ এম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এইচ এম মামুন মিয়া। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলার বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এস এম ফোরকান, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ন আহবায়ক ডাক্তার গিয়াস উদ্দিন ফারুকী ফয়সাল, কর্ণফুলী উপজেলার বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ ওসমান ও উপজেলা বিএনপি নেতা ফারুক আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল শ্রমিক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। প্রধান বক্তা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন এ কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রাম ও ভোটের নির্বাচনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। আজকের এ সম্মেলন প্রমাণ করতেছে আগামীতেও আন্দোলনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত। হামলা মামলা দিয়ে কর্ণফুলী উপজেলায় বিএনপিকে দুর্বল করা সম্ভব হয়নি বরং কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি এখন আরো সুসংগঠিত।
উদ্বোধক এর বক্তব্যে এইচএম মামুন মিয়া বলেন-কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপিতে কোন শিল্পপতি নেই। কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি খেটে খাওয়া মানুষের ভালবাসার দল। সবার সহযোগিতা নিয়ে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে, গঠন করা হচ্ছে প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড ও ইউনিট কমিটি। আগামীতে যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি দুর্বার ভূমিকা রাখবে। কোন দুষ্কৃতী মহল সরকারের গুপ্তচর হয়ে কর্ণফুলী বিএনপি'র অগ্রযাত্রাকে রোধ করতে পারবেনা। দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার খ্যাত কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপি কঠোর কর্মসূচি পালন করতে সদা প্রস্তুত।
সম্মেলনের শুরুতে ভোলাসহ সারা দেশে বিএনপির শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
বড়উঠান দ্বি- বার্ষিক সম্মেলনে ইদ্রিস হায়দার নয়ন কে সভাপতি ও এইচ এম ফারুক কে সাধারণ সম্পাদক করে সংক্ষিপ্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়। এ সময় উপস্থিত সকলে দুই হাত তুলে উক্ত কমিটিকে সমর্থন জানান।